Connect with us

নির্বাচিত

যুক্তরাষ্ট্রে করোনার কঠিনতম সময় আগামী ৬ থেকে ১২ সপ্তাহ

Published

on

মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় পড়তে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আসন্ন শরৎ ও শীতে কঠিন সময়ের বার্তা দিচ্ছেন মহামারি বিশেষজ্ঞরা। ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটার সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিস রিসার্চ অ্যান্ড পলিসির পরিচালক ড. মাইকেল অস্টারহম এক টিভি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘গোটা মহামারি করোনার সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ সময় হতে যাচ্ছে আগামী ৬ থেকে ১২ সপ্তাহ। ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়া চলমান, কিন্তু সেটা আসন্ন করোনাবৃদ্ধির সময়ের আগে আমরা পাচ্ছি না।

ড. অস্টারহম গত রোববার এনবিসি টিভির মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বলেন, ‘গত ১৩ সেপ্টেম্বর যখন আমি এই শোতে এসেছিলাম, সেদিন ৩৩ হাজার নতুন কোভিড-১৯ রোগী ছিল। আর গত শুক্রবার নতুন করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭০ হাজার জনের। এখানেই পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, কী হারে সংক্রমণ বাড়ছে।’

হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির টি এইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক জোসেফ অ্যালেন গত রোববার টুইটে ফুটবল খেলার উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘এটা কেবল হাফ-টাইম। এখন একটু দম নেওয়ার সময় দিচ্ছে। কারণ নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি কঠিন দিন হতে যাচ্ছে। সব এই লাইনেই এগোচ্ছে। অতএব, ব্যতিক্রম হওয়ার কোনো উপায় নেই।’

টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের বেইলর কলেজ অব মেডিসিনের অধ্যাপক পিটার হটেজ গত রোববার এক টুইটে বলেছেন, ‘এটা এমন যে ট্রেন আসছে। ভুল তথ্য দিয়ে হোয়াইট হাউস এটাকে (করোনার সংক্রমণ) নাকচ করার মধ্য দিয়ে তা (ট্রেন) থামানো যাবে না। আসন্ন শরৎ ও শীত কঠিন হতে যাচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব ও অন্যান্য উপায়ে নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত নিজেকে ও পরিবারকে রক্ষা করাটাই এখন মূল কাজ। এখনই পরিকল্পনা নিন। তবে বসন্তে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। সে সময় আমাদের জীবনমান স্বাভাবিক হবে, ভালোমতোই হবে।’

মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি ‘অনিবার্য’ বলে উল্লেখ করেছেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির টি এইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের মহামারি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মার্স লিপসিচ।

Advertisement

 

Continue Reading
Advertisement