স্বাস্থ্য সংবাদ
বিএসএমএমইউয়ে রেসিডেন্সি শিক্ষার্থীদের ইনডাকশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠান

ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রেসিডেন্সি প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের ইনডাকশন প্রোগ্রাম ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিএসএমএমইউর এ ব্লকের অডিটোরিয়ামে সারা দেশের মেডিকেল শিক্ষায় উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে মার্চ-২০২২ সেশনে ভর্তিকৃত রেসিডেন্সি প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের ইনডাকশন অনুষ্ঠিত হয়।
বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা: শারফুদ্দিন আহমেদ এবং আবেশন বক্তা ছিলেন অধ্যাপক ডা: প্রানগোপাল দত্ত এমপি।
ইনডাকশন প্রোগ্রামে বিএসএমএমইউর উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ নবাগত রেসিডেন্টদের উদ্দেশ্যে বলেন, ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। সফল হওয়ার জন্য শুরুতেই সঠিক পরিকল্পনা থাকতে হবে। জীবনে সততা, নৈতিকতাকে ধারণ করে ডিসিপ্লিন মেনে চলতে হবে, তবেই সফলতা আসবে।
তিনি তার বক্তব্যে বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জন ও উন্নয়নসমূহ তুলে ধরেন।

অধ্যাপক ডা. প্রান গোপাল দত্ত এমপি
ইনডাকশন বক্তা সাবেক উপাচার্য ও সংসদ সদস্য প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, সফল না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। অলসতা, বিলাসিতা ছাড়তে হবে। সততা, একাগ্রতা, নিরহংকার গুণকে অর্জন করতে হবে। লেখাপড়ার মধ্যে থাকতে হবে। গবেষণাকে গুরুত্ব দিতে হবে। রোগীদের প্রতি সবসময়ই সুন্দর ব্যবহার করতে হবে।
বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) একেএম মোশাররফ হোসেন বলেন, ইনডাকশন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীই মেডিকেল সাইনটিস্ট। জ্ঞান বৃদ্ধি, দক্ষতা অর্জন ও উৎকর্ষ সাধনে রেসিডেন্সী প্রোগ্রামের বিকল্প নাই। তিনি তার বক্তব্যে চিকিৎসকদের মানবিক চিকিৎসক ও বিশ্বমানের গবেষক হওয়ার আহ্বান জানান।

অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন
বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ছয়েফ উদ্দিন আহমদ বলেন, মেডিকেল শিক্ষার শেষ নাই। মানবিক মূল্যবোধকে ধারণ করে সৎ ও সুন্দর জীবনযাপনের মাধ্যমে লক্ষ্য পূরণ করতে হবে।
বিএসএমএমইউর কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও গবেষণাকে স্মরণে রেখেই এগিয়ে যেতে হবে। জনগণের জন্য কল্যাণকর গবেষণায় মনোযোগী হতে হবে। রোগীদেরকে নিজ পরিবারের সদস্য মতো সেবাদানের সাথে সাথে চৌকষ বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। নিজ নিজ অনুষদের শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন সার্জারি অনুষদের ডিন এএইচএম তোহিদুল আলম, বেসিক সায়েন্স ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন শিরিন তরফদার, মেডিসিন অনুষদের ডিন মাসুদা বেগম, শিশু অনুষদের ডিন শাহীন আকতার, ডেন্টাল অনুষদের ডিন মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএসএমএমইউর রেজিস্ট্রার এবিএম আব্দুল হান্নান। এছাড়াও অধিভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, নবাগত রেসিডেন্টরা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সারা দেশের বিভিন্ন মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষদের বিদেশী ছাত্রছাত্রীসহ মেডিকেল শিক্ষার্থীগণ, ডিনবৃন্দ, কোর্স ডাইরেক্টরগণ, বিএসএমএমইউ’র অধিভুক্ত কলেজের প্রধানগণ, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকবৃন্দ ইনডাকশন প্রোগ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশ নেন।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৭ জন বিদেশি শিক্ষার্থীসহ সার্জারি অনুষদ, বেসিক সায়েন্স ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদ, মেডিসিন অনুষদ, ডেন্টাল অনুষদ এবং শিশু অনুষদের ১১৭৫ জন শিক্ষার্থী আবেশিত হন। শিক্ষার্থীবৃন্দ সবাই এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনকারী চিকিৎসক।
ইনডাকশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও নবাগত রেসিডেন্টদের শপথ বাক্য পাঠ করান বিএসএমএমইউর উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।