রক্তদানে মানুষের শরীরে কোনো ধরনের ক্ষতি হয় না, বরং রক্ত দিলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পায় বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বছরে তিনবার রক্ত দিলেও কোনো সমস্যা হয় না বরং রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকে। রক্তদানে সদকায়ে জারিয়া পাওয়া যায়। এই হিসেবে রক্ত দিলে ক্ষতি হয় না, বরং লাভ হয়।
বুধবার (১৪ জুন) বিশ্ব রক্তদাতা দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য কাজ করি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত যারা রয়েছেন তারা দিন-রাত পরিশ্রম করে মানুষের জীবন বাঁচিয়ে চলেছেন। জীবন বাঁচানোর একটি অংশ হলো রক্তদান। এর মাধ্যমে মানব সম্প্রদায়কে বাঁচানো যায়। যে কারণে এটি একটি মহৎ কাজ।
তিনি বলেন, রক্তদানে মানুষ সুস্থ থাকে। রক্ত দেওয়া অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। ১৮ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আমরা সবাই যেন রক্ত দিয়ে মানুষের জীবন বাঁচাতে অবদান রাখি।
উপাচার্য আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় রক্ত সঞ্চালন বিভাগ নিয়ে গর্ব করে। রক্ত সঞ্চালন বিভাগটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ৮ অক্টোবর নিজে উদ্বোধন করেন। রক্ত সঞ্চালন বিভাগটি ইতিহাসের অংশ। এসময় তিনি তার বক্তব্যে ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের জন্য আরও জায়গা বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আয়েশা খাতুন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আতিয়ার রহমান, সহকারী অধ্যাপক ডা. শেখ সাইফুল ইসলাম শাহীনসহ বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সকাল থেকেই বিভিন্ন আয়োজনে বিএসএমএমইউয়ে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকের সামনে দিবসটি উপলক্ষ্যে ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ একটি শোভাযাত্রা বের করে। পরে ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও স্ক্রিনিং প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়।