কোনও দোকানের কর্মচারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা না নিলে সংশ্লিষ্ট দোকান মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, টিকা না নেওয়া থাকলে কোনো কর্মচারীকে দোকান মালিক চাকরিতে রাখতে পারবেন না। নির্দেশনা অমান্য করে মালিক যদি চাকরিতে রাখেন, তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা টিকা নিতে অনিচ্ছুক, তাদের জন্য এ ব্যবস্থা।
আজ মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) টিকা গ্রহণে জনসচেতনতা বাড়াতে ‘টিকা নিন, টিকা নিন’ গানের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি আসতে পারেননি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, নিজে বাঁচতে হবে, অন্যকে বাঁচাতে হবে। আপনি সুরক্ষিত না হলে আপনার পরিবার ঝুঁকিতে পড়বে। এগুলো চিন্তা করেই টিকা নিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও টাকা দিয়ে টিকা নিতে হচ্ছে। অনেক সম্পদশালী দেশেও টাকা দিয়ে টিকা নিতে হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ টাকা ছাড়াই সব মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি খুঁজে খুঁজে মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। আপনি দেখেন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এখন টিকা ছাড়া যেতে পারছে না। দোকান-মালিক সমিতি উদ্যোগ নিয়েছে, কোনও কর্মচারী বা মালিক যদি টিকা না নেয় তাহলে সে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, অনেকে মনে করছি আমরা নিরাপদ হয়ে গেছি। কিন্তু আমাদের এখনও প্রতিদিন এক হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। টিকা নিলে কিন্তু মৃত্যুর ঝুঁকি একেবারেই কমে যাচ্ছে। টিকা নেওয়া থাকলে মা-বাবাসহ পরিবার রেখে হয়তো পরপারে পাড়ি না দেওয়া লাগতে পারে।
দোকান মালিকদের উদ্দেশে শফিকুল ইসলাম বলেন, আপনারা মানুষের হাতে নানা রকম পণ্য তুলে দিচ্ছেন। আপনাদের কারণে যদি ক্রেতারা করোনায় আক্রান্ত হয় তাহলে কি এর দায়ভার আপনাদের না? অবশ্যই আপনাদেরও দায়ভার রয়েছে। সবাই টিকা নিতে পারলে সরকারকে বুঝাতে পারব আর মার্কেট বন্ধ রাখার প্রয়োজন নাই।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির নেতা ও বিভিন্ন মার্কেটের দোকান মালিক ও কর্মচারীরা সচেতনতামূলক এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।