Connect with us

নির্বাচিত

বিশ্বে করোনা শনাক্ত ৪ কোটি ১১ লাখ ছাড়াল

Published

on

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ কোটি ১১ লাখ ছাড়িয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা নাগাদ করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সংখ্যা ৪ কোটি ১১ লাখ ১৮ হাজার ৬৪ জন।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, একই সময় বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছে ১১ লাখ ২৯ হাজার ৭১০ জন।বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৮০ লাখ।

বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৩ লাখ ৩০ হাজার ৪৮৪ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছে ২ লাখ ২১ হাজার ৯৯০ জন।

ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৬ লাখ ৫১ হাজার ১০৭ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৯১৪ জন।

Advertisement

ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫২ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫৪ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩৭ জন।

তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। আর্জেন্টিনা পঞ্চম। স্পেন ষষ্ঠ। ফ্রান্স সপ্তম। কলম্বিয়া অষ্টম। পেরু নবম। মেক্সিকো দশম।তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৭তম।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।

করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

Advertisement

২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে।

১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯ ’। ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বাংলাদেশ পরিস্থিতি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুধবারের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত দেশে মোট নিশ্চিত আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৯৩ হাজার ১৩১ জন। গতকাল পর্যন্ত দেশে মোট ৫ হাজার ৭২৩ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে সরকার।

মোট নিশ্চিত আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বিবেচনায় দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

এখন পর্যন্ত ৩ লাখের বেশি মানুষ ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। সুস্থ হওয়ার হার ৭৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

Advertisement

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় সরকার।

বাংলাদেশে মার্চের শুরুর দিকে সংক্রমণ শনাক্ত হলেও দ্রুত ছড়াতে শুরু করে মে মাসের মাঝামাঝি গিয়ে। জুনে সংক্রমণ তীব্র আকার ধারণ করে। মাস দুয়েক ধরে নতুন রোগী ও রোগী শনাক্তের হার কমছে। তবে এখন আবার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শুরুর দিকে মৃত্যু কম হলেও ক্রমে তা বাড়তে থাকে। ৪ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন করোনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে জুন, জুলাই, আগস্টে মৃত্যুর ঘটনা ছিল বেশি। সেপ্টেম্বর থেকে মৃত্যু কমেছে। তবে এখনো প্রতিদিন ২০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।

 

Advertisement
Continue Reading
Advertisement