Connect with us

নির্বাচিত

হাসপাতালে অসাধু চক্রের দৌরাত্ম্য, প্রতিবাদে চিকিৎসকদের মানববন্ধন

Published

on

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অসাধু চক্রের দৌরাত্ম্য, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও জনদুর্ভোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন চিকিৎসকেরা। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতাল চত্বরে সর্বস্তরের চিকিৎসক সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বিমল চন্দ্র রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। সমাবেশে বক্তব্য দেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নূরুন্নবী লাইজু, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, চিকিৎসক জামাল উদ্দিন, সৈয়দ মামুনুর রহমান, মঞ্জুরুল করিম প্রমুখ। কর্মসূচিতে মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ছাড়াও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) চিকিৎসক নেতারা অংশ নেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, হাসপাতালের এক শ্রেণির কর্মচারীদের সিন্ডিকেটের কারণে চিকিৎসকেরা আজ জিম্মি হয়ে পড়েছেন। সিন্ডিকেটের কারণে চিকিৎসকেরা হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। কর্মচারীদের দাপটে কাজ করার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকেরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন।

অবিলম্বে এই চক্রকে চিহ্নিত করার দাবি জানিয়ে চিকিৎসকেরা বলেন, এই হাসপাতালে যেখানে চিকিৎসকদের চাঁদা দিতে বাধ্য করা হয়, সেখানে সাধারণ রোগী ও তাঁদের স্বজনদের কী অবস্থা হয়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

প্রসঙ্গত, ১৭ সেপ্টেম্বর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোসার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট এ বি এম রাশেদুল আমীর তাঁর অসুস্থ মাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে গিয়ে বকশিশ সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে হয়রানির শিকার হন। এ নিয়ে হাসপাতালের পরিচালকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ওই চিকিৎসক। অভিযোগে রাশেদুল আমীর উল্লেখ করেন, ১৭ সেপ্টেম্বর হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হলে তাঁর মাকে স্বজনেরা হাসপাতালে ভর্তি করাতে নিয়ে যান। জরুরি বিভাগে ভর্তির জন্য তাঁদের কাছে ২৫০ টাকা দাবি করা হয়। পরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মা পরিচয় জানতে পেরে তাঁরা ভর্তি বাবদ ৫০ টাকা নেন। যদিও হাসপাতালে নির্ধারিত ভর্তি ফি ২৫ টাকা এবং সরকারি কর্মকর্তার মা ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী হিসেবে ভর্তি ফি না নেওয়ার কথা।

Advertisement

অভিযোগে ওই চিকিৎসক বলেন, ভর্তি-পরবর্তী কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) মাকে নেওয়া হলে সেখানে কর্মরত দুজন জোর করে তাঁর (চিকিৎসক) ব্যক্তিগত সহকারীর কাছ থেকে ২০০ টাকা নেন। এ সময় চিকিৎসকের নাম-পরিচয় ও রোগী সম্পর্কে জানানো হলে তাঁরা বলেন, ‘স্যারের মা হোক আর যে-ই হোক, টাকা দিতে হবে।’

এ ঘটনার পর হাসপাতালের দুজন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা হলেন—মাসুদ হোসেন ও ঝর্ণা বেগম। তাঁরা দুজনই চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী।

Continue Reading
Advertisement