Connect with us

জলবায়ু ও পরিবেশ

উত্তরাঞ্চলে ইটভাটার আগ্রাসন: বিনষ্ট হচ্ছে কৃষি ও পরিবেশ

ইহেলথ২৪ ডটকম ডটবিডি- উত্তরাঞ্চলে ইটভাটার আগ্রাসনে আবাদি জমি ধ্বংস হচ্ছে। এলাকার কৃষিজমির উপরিভাগের ঊর্বর মাটি অবাধে পুড়ছে ইটভাটায়। কৃষকরা বাধ্য হয়ে নামমাত্র মূল্যে এসব জমির মাটি বিক্রি করছেন। এতে একদিকে যেমন কৃষি জমি নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে। এভাবে চলতে থাকলে এ অঞ্চলে কৃষিপণ্য উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষিবিদরা।   উত্তরাঞ্চলে দিনদিন […]

Published

on

উত্তরাঞ্চলে ইটভাটার আগ্রাসন: বিনষ্ট হচ্ছে কৃষি ও পরিবেশ

উত্তরাঞ্চলে ইটভাটার আগ্রাসন: বিনষ্ট হচ্ছে কৃষি ও পরিবেশ

ইহেলথ২৪ ডটকম ডটবিডি- উত্তরাঞ্চলে ইটভাটার আগ্রাসনে আবাদি জমি ধ্বংস হচ্ছে। এলাকার কৃষিজমির উপরিভাগের ঊর্বর মাটি অবাধে পুড়ছে ইটভাটায়। কৃষকরা বাধ্য হয়ে নামমাত্র মূল্যে এসব জমির মাটি বিক্রি করছেন। এতে একদিকে যেমন কৃষি জমি নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে। এভাবে চলতে থাকলে এ অঞ্চলে কৃষিপণ্য উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষিবিদরা।

 

উত্তরাঞ্চলে দিনদিন ব্যাপকহারে ইটভাটার সংখ্যা বাড়ছে। এসব ইটভাটার মাটি যোগান দিতে একের পর এক ফসলী জমির ঊর্বর মাটি কেটে সাবাড় করছেন ভাটা মালিকরা। মাটি কিনে ফসলি জমিতে গভীর খাদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। অভাবী কৃষকদের টাকার লোভ দেখিয়ে দিনের পর পর দিন এসব আবাদি জমির মাটি কাটায় এলাকার কৃষি জমিগুলো দিনদিন কমে যাচ্ছে। অবশিষ্ট যা আছে সেগুলোও উৎপাদন ক্ষমতা হারাচ্ছে।

 

 

এ অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা বার্তা২৪ ডটনেটকে জানান, কৃষিজমির উপরিভাগের এক ফুট গভীর করে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার চুক্তি করে মাটি ব্যবসায়ীরা দেড় থেকে দুই ফুট গভীর করে মাটি কাটছেন। এক জমির মাটি কাটা হলে পাশের জমিতে পানি ধরে রাখতে না পারায় আবাদ হচ্ছে না। এতে পাশের জমির মাটিও বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন জমির মালিকরা। এভাবেই মাঠের পর মাঠ মাটি কেটে কৃষিক্ষেত্র ধ্বংস করছে ভাটা মালিকরা।

Advertisement

 

 

এ বিষয়ে গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এএইচএম বজলুর রশিদ বার্তা২৪ ডটনেটকে জানান, ফসলের প্রয়োজনীয় সব উপাদানই থাকে মাটির উপরিভাগে। একে টপসয়েল বলা হয়। এই টপসয়েল কেটে নিয়ে গেলে সে জমিতে ফসল ফলানো সম্ভব নয়। এভাবে জমির উপরিভাগের ঊর্বর মাটি ইটভাটায় গেলে কৃষি জমিগুলো উৎপাদর ক্ষমতা হারাবে।

 

এভাবে ইটভাটায় কৃষি জমির মাটি পুড়তে থাকলে ভয়াবহ পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি খাদ্যঘাটতিও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। তারা এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Advertisement
Continue Reading
Advertisement