বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর কথিত অত্যাচার এবং ভারতীয় পতাকার অবমাননার কারণে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল উত্তর কলকাতার মানিকতলা এলাকার জেএন রায় হাসপাতাল।
কলকাতার পর এবার বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরা। খবর এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় অবস্থিত আইএলএস হাসপাতাল। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর কথিত নির্যাতন ও ভারতীয় পতাকার অবমাননার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলা, ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ১০০ নিহতত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলা, ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ১০০ নিহত
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে কাছাকাছি এবং সাশ্রয়ী মূল্যের চিকিৎসা খরচের কারণে বাংলাদেশের রোগীদের জন্য একটি জনপ্রিয় চিকিৎসা কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল।
ত্রিপুরার আইএলএস হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার গৌতম হাজারিকা বলেন, “আমাদের স্বাস্থ্য সুবিধায় বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষের চিকিৎসা স্থগিত করার দাবিতে আমরা পূর্ণ সমর্থন জানাই।‘
ইতিমধ্যে আখাউড়া চেকপোস্টে এই হাসপাতালের হেল্প ডেস্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভারতীয় পতাকার প্রতি অসম্মান এবং বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় মানুষরা। মূলত তারাই বাংলাদেশি নাগরিকদের এই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা বন্ধের দাবি জানান।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ত্রিপুরার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশের নাগরিকদের যে কোনও পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করার জন্য আবেদন জানান।
৪৪.৭% মানুষের ধারণা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে খারাপ করছে অন্তর্বর্তী সরকার৪৪.৭% মানুষের ধারণা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে খারাপ করছে অন্তর্বর্তী সরকার
আগরতলায় অবস্থিত আইএলএস হাসপাতালটি একটি মাল্টি-সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকেই টানাপোড়েন চলছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে। সম্প্রতি সাবেক ইসকন সদস্য এবং সম্মিলিত সনাতন জাগরণ মঞ্চের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের জেরে আরো তিক্ত হয়েছে প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্ক।