বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। সর্বশেষ ‘বাংলাদেশ এনসিডি স্টেপস সার্ভে-২০২২’ অনুযায়ী প্রতি চারজনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। আগে এটি ছিল প্রতি পাঁচজনে একজন।
উচ্চ রক্তচাপের বিদ্যমান প্রকোপ কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে তৃণমূল পর্যায়ের সব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে টেকসই অর্থায়ন জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মঙ্গলবার ‘উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তারা এমন তাগিদ দিয়েছেন। রাজধানীর বিএমএ ভবনে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এ কর্মশালার আয়োজন করে। এতে প্রিন্ট, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ২৬ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৭০ শতাংশের জন্যই দায়ী হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসার, কিডনি রোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ। তবে এসব রোগ মোকাবিলায় সরকারি অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ খুবই সামান্য, যা মোট স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ৪ দশমিক ২ শতাংশ। এ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি না করলে উচ্চ রক্তচাপসহ নানাবিধ অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি মোকাবিলা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
কর্মশালায় আলোচক ছিলেন জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রুহুল কুদ্দুস, এনটিভির হেড অব নিউজ জহিরুল আলম এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞার পরিচালক মো. শাহেদুল আলম এবং কোঅর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা।