Connect with us

নির্বাচিত

খুচরা অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে চাই স্বাস্থ্যের ডিজি

Published

on

খুচরা অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম। অ্যান্টিবায়োটিকের পূর্ণ ডোজ সেবন না করার কারণে জীবাণু ওই ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছে বলে ওষুধের দোকানগুলোতে অ্যান্টিবায়োটিকের খুচরা বিক্রি বন্ধ করার উপর জোর দিচ্ছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

রোববার ঢাকার লেইক শোর হোটেলে ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সমস্যা, প্রতিরোধ করি সবাই মিলে’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে কথা বলেন ডা. খুরশীদ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, ইউএসএআইডি এবং বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম যৌথভাবে এই আলোচনা সভা আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খুরশীদ আলম বলেন, “খুচরাভাবে ওষুধ বিক্রি জীবাণুর অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠার বড় কারণ। এ কারণে পূর্ণ ডোজ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিকের বিক্রি বন্ধ করতে হবে।

“আমরা বাজারে গেলাম। গ্যাস্ট্রিক, জ্বরের ওষুধ কিনলাম, পাশাপাশি ২টা-৩টা অ্যান্টিবায়োটিক কিনে নিয়ে আসলাম। এটা সাধারণ মানুষের মাঝে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স তৈরির বড় কারণ। এজন্য ফুল ডোজ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি হবে না। যে কিনতে পারবে কিনবে, যে কিনতে পারবে না সে কিনবে না।”

অপ্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমাতে চাইলেও তাতে সফল না হওয়ার জন্য ওষুধ কোম্পানিগুলোকে দায়ী করেন স্বাস্থ্যের ডিজি।

Advertisement

“ওষুধ কোম্পানিগুলো আগ্রাসী নীতির কারণে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ বিক্রি থামানো যাচ্ছে না। ওষুধ চালাতেই হবে। এজন্য তারা ডাক্তারদের, এমনকি হাতুড়ে ডাক্তারদেরও ইনসেনটিভ দিচ্ছে। ডাক্তারদের আইনের আওতায় আনা গেলেও কোয়াকদের তো আনা যাবে না।”

তিনি আরও বলেন, “হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষগুলো থেকেও ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণু ছড়াচ্ছে। যে মান বজায় রেখে চিকিৎসা দেওয়ার কথা তা করা যাচ্ছে না।

“আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে তুলনা করলে অপারেশন থিয়েটার কিংবা বেড থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর কথা না। কিন্তু সেটা আমাদের এখানে হচ্ছে। চিকিৎসক, ওয়ার্ড বয়, সিস্টার, লোকজন, রোগী কেউ নিয়মকানুন মানছি না।”

আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. সানিয়া তহমিনা। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম, ইউএসএইডের ডা. আবুল কালাম আজাদ, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।

Advertisement
Continue Reading
Advertisement
Advertisement
জেনে রাখুন, সুস্থ থাকুন4 weeks ago

ওষুধ খাওয়ার ভুলে অসুস্থতা

জ্বর বা মাথাব্যথা হলেই প্যারাসিটামল, অ্যালার্জির জন্য হিস্টাসিন কিংবা গ্যাসের ট্যাবলেট- এই ধরনের ওষুধগুলো আমরা হরহামেশাই খাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই।...

খাদ্য ও পুষ্টি1 month ago

শিশুদের জন্য লবণ যতটুকু দরকার

অতিরিক্ত লবণ শিশুর বৃদ্ধিতে বাধা প্রদানের পাশাপাশি অল্প বয়সে রক্তচাপের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। খাদ্যাভ্যাসে এমন পরিমাণ লবণ রাখতে হবে যা...

জেনে রাখুন, সুস্থ থাকুন1 month ago

ওষুধ খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কেন

বয়সে টিংকু বেশ ছোট। এত ছোট যে মাঝেমধ্যে টিংকুর দাঁত পড়ে। একবার বিড়াল টিংকুকে আঁচড়ে দিল। চিকিৎসক বললেন যে র‌্যাবিসের...

Advertisement