পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় গবেষকরা নতুন তথ্য পেয়েছেন। শুক্রাণুর নতুন গতিবিধির পরীক্ষা করে পুরুষের বন্ধ্যাত্ব সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তারা। এই গবেষণা পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।
পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব নতুন কিছু নয়। বিয়ের পর সন্তান না হলে সব দোষ বউয়ের ঘাড়ে চাপানোর যে সংস্কৃতি তা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মাধ্যমে অনেক কমে এসেছে। এখন কে সন্তান জন্মদানে অক্ষম তা চাইলে সহজেই জানা যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে, বন্ধ্যাত্বের শিকার নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই হতে পারে। পুরুষশাসিত সমাজে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষরা বন্ধ্যাত্বের কথা স্বীকার করেন না।
বর্তমানে বিজ্ঞানের প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে মানবজীবনের অনেক তথ্য বেরিয়ে আসছে। সম্প্রতি পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব নিয়ে নতুন তথ্য পেয়েছেন টোলেডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। শুক্রাণুর নতুন গতিবিধির পরীক্ষা করে পুরুষের বন্ধ্যাত্ব সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তারা। তাদের এ গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে বিখ্যাত নেচার পত্রিকায়।
গবেষকদের দাবি, শুক্রাণু মাথা এবং লেজের সংযোগস্থল বা সেন্ট্রওলটির গতি কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে লেজের গতি বৃদ্ধি করা সম্ভব। আর এটি নিয়মিত নড়াচড়া করলেই শুক্রাণুর গতির বৃদ্ধি পাবে। আর দ্রুত গতি সম্পন্ন শুক্রাণু নারীদেহের ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলে আরো বেশি সক্রিয় হবে। ফলে পুরুষরা অভিশপ্ত বন্ধ্যাত্বের হাত থেকে মুক্তি পাবেন। এমনকি গর্ভপাত কিংবা জন্মগত ত্রুটি ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
শুক্রাণুর মাথা এবং লেজ যদি একই গতিতে না নড়ে তাহলে সেটি উর্বর ডিম্বাণুর কাছে সঠিক সময়ে পোঁছোতে পারে না। সেক্ষেত্রে সেন্ট্রিওলটি ত্রুটিপূর্ণ হয়। সেই সেন্ট্রিওলটিকেই কৃত্রিমভাবে গতি দিতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আর শুক্রাণুর এই অক্ষমতার কারণেই পুরুষের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব দেখা যায়। বিজ্ঞানীদের নতুন এই আবিষ্কার পুরুষের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান করতে পারবে বলে আশা করা যায়। সূত্র : এই সময়