Connect with us

নির্বাচিত

‘ডিসেম্বরেই ৫০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আসবে’

Published

on

আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই দেশের ৫০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের এক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা টিকা ক্যাম্পেইনে ৭৫ লাখ মানুষকে টিকা দিয়েছি। এটা আমাদের জন্য বিশাল কৃতিত্বের বিষয়। আমাদের টিকা কার্যক্রমকে এভাবেই আমরা চালিয়ে নিয়ে যাব এবং আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য সচিব বলেন, এ বছরের মধ্যে প্রায় ২০ কোটি ডোজ টিকা দেশে পৌঁছে যাবে। যেগুলো আমরা প্রায় ১০ কোটি মানুষকে দিতে পারবো।

হার্ট দিবস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে আশঙ্কাজনকহারে হার্টের রোগী বাড়ছে। শুধু যে শহরের আর ধনী লোকদের এ রোগ হচ্ছে তা নয়, গ্রামের গরীব লোকরাও হার্টের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর কারণ আমাদের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এবং বাজে নেশা।

Advertisement

লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, হার্টের অসুখের অন্যতম কারণ ধূমপান। এই ধূমপানের পক্ষে বলার মতো কোনো কারণ নেই। তবুও এ অকাজের জিনিসটা যে কেন মানুষ খায়, আমি জানি না। ক্ষতিকারক জিনিসের প্রতি যেন মানুষের আগ্রহ বেশি। মাদকাসক্তিতে কেন যে আমাদের ছেলেরা জড়ায়, কি কারণে যে এটার প্রতি তাদের এতো আগ্রহ, এর পক্ষে যদি কোনো একটা কারণ বলতে পারতো তাহলে আমরা বিবেচনা করে দেখতাম। শিক্ষক, চিকিৎসকরা যেখানে এর বিরুদ্ধে বলছে, আর ছেলেরা এটাতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম, তখন ধূমপান যারা করে, তাদের খুবই আনস্মার্ট এবং বাজে ভাবতাম। না করলেই বরং স্মার্ট মনে করতাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ঠিক উল্টোটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক (অব.) আব্দুল মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, লাইন ডিরেক্টর (এনসিডিসি) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী।

Advertisement
Continue Reading
Advertisement