সময়ের অভাবে ব্যায়াম করতে পারছেন না, ব্যস্ততায় খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সহজেই হাতের কাছে পাচ্ছেন না- যার ফলে পেটে জমছে মেদ। অস্বস্তিতে আছেন, চিন্তা করছেন কি করা যায়?
ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের মতে, মেদ বিশেষ করে পেটের মেদ কমানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মানতেই হয়। তবে যদি অত সময় নাও পান, অথচ কিছু কৌশল মানেন, তাহলেও মেদকে জব্দ করা সম্ভব।
পেট ও কোমরের কোর মাসলকে শক্তিশালী করে তুলতে প্লাঙ্কের জবাব নেই। অনেকেই ভাবছেন, এর জন্য অনেক সময় দরকার, এই ভাবনা কিন্তু ঠিক নয়। অফিস থেকে ফিরে প্লাঙ্কের জন্য মিনিটখানেক সময় রাখুন।
নির্দিষ্ট কয়েকটি প্ল্যাঙ্ক অভ্যাসই আপনার মেদ কমানোর জন্য যথেষ্ট। এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর হলো সাইড প্লাঙ্ক।
এই এক্সারসাইজের ফলে কোমরের কোর মাসলের শক্তি বাড়়ে, পেশী টানটান হয়। যার জন্য মেদ জমার অবকাশ পায় না। শরীরকে টোনড করে রাখতে হলে এই ধরনের প্লাঙ্ক খুবই কার্যকর। এই জাতীয় প্লাঙ্ক এক্সারসাইজ মেরুদণ্ডের ভেতরের পেশীগুলোর জোর বাড়ায় ও শক্তপোক্ত করে মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
তবে প্রথমেই এক-দু’মিনিট প্লাঙ্ক ধরে রাখা সম্ভব নয়। অনভ্যস্ত শরীর হলে সে চেষ্টা করতেও যাবেন না। বরং ১০ সেকেন্ড কিংবা ২০ সেকেন্ড করে ছোট ছোট টার্গেটে ভাগ করে নিন সময়সীমা।
প্রথম কয়েক দিন ১০ সেকেন্ড ধরে থাকুন। শরীরে সয়ে এলে তা বাড়িয়ে ২০ সেকেন্ড করুন। ধীরে ধীরে এভাবে সময় বাড়ান। এক মিনিট টানা এমন প্লাঙ্ক ধরে রাখতে পারলে বুঝবেন, শরীর প্লাঙ্কের জন্য যেমন তৈরি হয়েছে, তেমনি মেদও কমছে ধীরে ধীরে। ওজনপাল্লায় দাঁড়ালেই তফাত বুঝতে পারবেন।
কিন্তু কেমন করে করবেন এমন প্লাঙ্ক? প্রথম দিকে অনভ্যস্ত শরীরে হাতের কনুই পর্যন্ত মাটির সঙ্গে ঠেকিয়ে প্লাঙ্ক করুন। অভ্যস্ত হয়ে গেলে হাতের পাতা ও পায়ের পাতা মাটিতে রেখে বাকি শরীরটা শূন্যে তুলে প্লাঙ্ক করুন।
সাইড প্ল্যাঙ্ক করার সময় এক হাত আর এক পা মাটিতে রাখবেন। অন্য হাত তুলে দিন উপরে, একটি পায়ের উপর অন্যটি থাকবে। যতক্ষণ পারেন তা ধরে রেখে হাত ও পা বদল করুন।
প্লাঙ্কের সময় পেট ভেতর দিকে টেনে রাখতে পারলে আরও উপকার পাবেন। তবে এটি করার আগে ট্রেনারের পরামর্শ ও সাহায্য নিয়ে করবেন। শরীরের ক্যালোরি এতে বেশি বার্ন হবে।
তবে প্লাঙ্ক করলেই হল না। তার জন্য কিছু সতর্কতাও মেনে চলতে হবে। নইলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কেমন তা?
সাইড প্লাঙ্ক করার সময় শরীরের গড়ন ও পজিশনের উপর খেয়াল রাখুন। প্লাঙ্কের সময় শরীর যেন ভূমিতলের সঙ্গে সমান্তরালভাবে থাকে।
লবশত কোমর উঁচু হয়ে থাকলে সেখানে বাড়তি চাপ পড়বে। সে ক্ষেত্রে কোমরের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে।