একের পর এক শুধু হাসপাতাল বানিয়েই রোগীর চাপ কমানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মেডট্রনিকের চেয়ারম্যান ড. ওমর ইশরাক। তিনি বলেন, আমরা যদি হাসপাতাল বানানোর কথা বলি, বর্তমানে জনসংখ্যা এবং রোগীর যে চাপ তা শুধু হাসপাতাল বানিয়ে সমাধান করা সম্ভব নয়। এজন্য আমাদের সচেতনতা এবং রোগ প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কনভেনশন হলে মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ও ডিভাইস বিষয়ক এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সারা দেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সদর হাসপাতালসহ, মেডিকেল কলেজ, বিশেষায়িত হাসপাতালের যন্ত্রপাতির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়। এবং এসব যন্ত্রপাতি ঠিকমতো মেরামত, সংরক্ষণ এবং অকেজো যন্ত্রপাতি কার্যোপযোগী করার উপায় নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়।
ড. ওমর ইশরাক বলেন, আমরা যদি রোগের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দেই, তাহলে গ্রাম থেকে শহরে, ঢাকায় রোগীর চাপ বাড়বে না। এ ছাড়া আমরা যদি রোগ হওয়ার আগে তা প্রতিরোধ করতে পারি, তাহলে আমাদের হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বাড়বে না। মাত্রাতিরিক্ত রোগী ভর্তি হবার কারণে হাসপাতালগুলোতে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া ব্যাহত হয়।
তিনি বলেন, যে সব প্রস্তুতকারক বা কোম্পানি হাসপাতালে যন্ত্রপাতি এবং মেশিনারি সরবরাহ করে তাদের সঙ্গে এমন সার্ভিস চুক্তি হতে হবে যাতে যন্ত্রপাতিতে কোনো সমস্যা হলে তারা নিজ উদ্যোগে এটা ঠিক করে দেয়। সার্ভিস চুক্তিতে এটা উল্লেখ থাকলে প্রস্তুতকারক বা সরবরাহ কোম্পানি নিজেরাই এটা মেরামত করবে। প্রয়োজনে তারা যন্ত্রপাতি নিয়ে গিয়ে ঠিক করবে অথবা আমাদের দেশেই যন্ত্রপাতি ঠিক করার জন্য তাদের অফিস স্থাপন করবে। সার্ভিস চুক্তিতে স্পষ্ট করে এসব বিষয়গুলো উল্লেখ থাকলে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি এবং মেশিনারি নিয়ে সমস্যা হবে না।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ডা. মো. সায়েদুর রহমান এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী। আরও উপস্থিত ছিলেন মেডট্রনিক ল্যাবসের প্রেসিডেন্ট রুচিকা সিনঘাল, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।