Connect with us

জেনে রাখুন, সুস্থ থাকুন

রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমছে? বাড়ানোর উপায় জেনে নিন

Published

on

রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ অনেকেরেই কম থাকে। যদিও আপতদৃষ্টিতে এই সমস্যাটি নিয়ে কেউ তেমন সচেতন নন! তবে জানেন কি? রক্তে হিমোগ্লোবিন মাত্রা ক্রমশ কমতে থাকলে বিকলাঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
হিমোগ্লোবিন কী?

রক্তের মাধ্যমে সমগ্র দেহে অক্সিজেন ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান পরিবাহিত হয়ে থাকে। রক্তের তিনটি কনিকার মধ্যে লোহিত কনিকায় থাকে বিশেষ ধরনের আয়রন যাকে হিমোগ্লোবিন বলা হয়। এই হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ হচ্ছে ধমনী থেকে দেহের সব জায়গায় অক্সিজেন সরবরাহ করা। সুতরাং দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে দেহে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। ফলে শরীর দূর্বল হয়ে পরে, মাথা ব্যাথা করে ও অন্যান্য নানা সব লক্ষণ প্রকাশ পায়।

এমনকি দীর্ঘদিন রক্ত স্বল্পতায় ভুগলে দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসমূহ সম্পূর্ণ বিকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর থেকে বাঁচার উপায় হলো এমন কিছু খাবার খাওয়া যেগুলো রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। তবে জেনে নিন এমনই কয়েকটি খাবার সম্পর্কে-

বাদাম: যে কোনো ধরনের বাদাম মানবদেহের জন্য উপকারী বলে বিবেচিত হয়। যে কারণে তরুণদের কাজু বাদাম, চিনা বাদাম এবং আখরোট খেতে বলা হয়। এতে রক্তে হিমগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে।

মাংস: রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত প্রোটিন। এজন্য সব ধরনের লাল মাংস যেমন- গরু ও খাসির মাংস খেতে হবে। কলিজা আয়রনের সবচেয়ে ভালো উৎসগুলোর মধ্যে একটি। আয়রন হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। মুরগির মাংস লাল না হলেও তা দেহকে অনেক আয়রন সরবরাহ করে থাকে।

Advertisement

টকজাতীয় ফল: রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায় সব ধরনের রসালো সাইট্রিক ফল। ভিটামিন সি এর সবচেয়ে ভালো উৎস আম, লেবু এবং কমলা। দেহের আয়রন শুষে নেয়ার জন্য ভিটামিন সি সবচেয়ে জরুরি। স্ট্রবেরি, আপেল, তরমুজ এবং বেদানাতেও প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে।

সামুদ্রিক মাছ: এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং অন্যান্য পুষ্টির উপাদান আছে। অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতায় শিকার রোগীদের প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ রাখতে হবে।

সয়াবিন: ছোলা বা সয়াবিন জাতীয় খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। সয়াবিন বর্তমানে রোগীদের জনপ্রিয় একটি খাবার। এ থেকে সুস্বাদু সব খাবার তৈরি হয় এবং এটা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়।

পূর্ণ শস্যজাতীয় খাবার: চাল, গম, বার্লি এগুলো রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এসব খাবার প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেড সরবরাহ করে থাকে। বিশেষ করে, লাল চাল সববয়সী রোগীদের জন্য আয়রনের বিশেষ উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়।

শুকনো ফল: কিসমিস ও খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন এবং আঁশ। এসব খাবার খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে দ্রুত গতিতে।

Advertisement

ডিম: আমিষ জাতীয় খাদ্যের মধ্যে ডিম অন্যতম। এতে রয়েছে আয়রন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। ডিমের কুসুমে আছে খনিজ পুষ্টি এবং ভিটামিন। এ কারণে দুর্বল রোগীদের প্রতিদিন সিদ্ধ ডিম খেতে বলা হয়।

ডার্ক চকলেট: প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে ডার্ক চকলেটে। দেহে আয়রনের ঘাটতি মেটায় এটি। যার ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও দ্রুতগতিতে বেড়ে যায়।

সবজি: প্রতিদিন তাজা সবজি খেলে আয়রন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান এবং নানা ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি মিলবে। আলু, কপি, টমেটো, কুমড়া এবং লেবু আয়রনের ঘাটতি মেটাতে সক্ষম।

Continue Reading
Advertisement
Advertisement
জেনে রাখুন, সুস্থ থাকুন4 weeks ago

ওষুধ খাওয়ার ভুলে অসুস্থতা

জ্বর বা মাথাব্যথা হলেই প্যারাসিটামল, অ্যালার্জির জন্য হিস্টাসিন কিংবা গ্যাসের ট্যাবলেট- এই ধরনের ওষুধগুলো আমরা হরহামেশাই খাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই।...

খাদ্য ও পুষ্টি4 weeks ago

শিশুদের জন্য লবণ যতটুকু দরকার

অতিরিক্ত লবণ শিশুর বৃদ্ধিতে বাধা প্রদানের পাশাপাশি অল্প বয়সে রক্তচাপের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। খাদ্যাভ্যাসে এমন পরিমাণ লবণ রাখতে হবে যা...

জেনে রাখুন, সুস্থ থাকুন1 month ago

ওষুধ খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কেন

বয়সে টিংকু বেশ ছোট। এত ছোট যে মাঝেমধ্যে টিংকুর দাঁত পড়ে। একবার বিড়াল টিংকুকে আঁচড়ে দিল। চিকিৎসক বললেন যে র‌্যাবিসের...

Advertisement