বিশ্বজুড়ে নারীর স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার দিন দিন বাড়ছে। গবেষকেরা বলছেন, জীবনাচরণ পাল্টে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়। এর মধ্যে খাদ্যাভ্যাসের বিষয়টিও রয়েছে।
যাঁদের ওজন বেশি, স্থূলতায় ভুগছেন, তাঁদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সচেষ্ট হতে হবে।
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার খেলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। আঁশজাতীয় খাবার পরিপাক ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে, বর্জ্য নিঃসরণ ও কোষ্ঠ পরিষ্কারে ভূমিকা রাখে।
তাজা ফলমূল ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। বেরি–জাতীয় ফল যেমন, ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি ও ব্ল্যাক রাস্পবেরি বিশেষ উপকারী। ডালিমে আছে এলাইডিক অ্যাসিড, যা উচ্চমানের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। হলুদ, সবুজ ও কমলা রঙের শাকসবজি ও ফলে আছে ফাইটোকেমিক্যাল ক্যারোটিনয়েডস। এ ধরনের শাকসবজি ও ফলের মধ্যে রয়েছে গাজর, মিষ্টিকুমড়া, মিষ্টি আলু, পালংশাক ইত্যাদি। এগুলো বেশি করে খান। ক্রুসিফেরাস সবজি যেমন ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি ইত্যাদিতে প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে। এ ছাড়া এসব সবজিতে গ্লুকোসিনোলেট নামের যৌগও থাকে। এগুলো ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক।
গোটা শস্যদানা, যেমন লাল চাল, ওটস, বার্লি বা কর্নে আছে প্রচুর আঁশ ও ম্যাগনেসিয়াম। এগুলোও ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
গবেষণায় ভিটামিন ডি–এর অভাবের সঙ্গে স্তন ক্যানসারের একটি সম্পর্ক থাকতে পারে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এ ছাড়া ডিমের কুসুম, হেরিং মাছ, সার্ডিন মাছ, স্যামন, ভিটামিন ডি ফরটিফায়েড কমলার রস, টক দইয়ে এই ভিটামিন থাকে।
সয়াবিন ও সয়া পণ্য, যেমন টফু, সয়া বাদাম, সয়া দুধ ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। দৈনিক ২ থেকে ৩ কাপ গ্রিন–টি পান করা ভালো। এ ছাড়া তিসিতে ওমেগা–৩, লিগন্যান্স ও আঁশ আছে। তিসির বীজ, তিসির তেল ক্যানসার প্রতিরোধে বিশেষ উপকারী।
জলপাইয়ের তেল, অ্যাভোকেডো, বাদামে উপকারী চর্বি আছে। এগুলো বিশেষ উপকারী। এ ছাড়া সপ্তাহে অন্তত তিন দিন শীতল পানির মাছ খেতে পারেন।
মিষ্টি ও চিনিযুক্ত খাবার, উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার, ট্রান্স ফ্যাট, অ্যালকোহল, ফাস্ট ফুড ও লাল মাংস যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।