Connect with us

স্বাস্থ্য সংবাদ

সলিমুল্লাহ মেডিকেলের ২৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, বদলি হচ্ছেন ৯ শিক্ষক

Published

on

কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত থাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ২৪ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে হামলাকারীদের সহায়তার অভিযোগে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষসহ ৯ শিক্ষককে বদলির সুপারিশ করেছে একাডেমিক কাউন্সিল।

জানা গেছে, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও অভিযুক্ত শিক্ষকরা আওয়ামী লীগ সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সদস্য।

বুধবার (২১ আগস্ট) স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে একাডেমিক কাউন্সিল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সভার সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শাহাদাত হোসেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের ওপর ১৬ জুলাই হামলার ঘটনায় ইউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সুদীপ দাশগুপ্ত, মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আব্দুস ছাত্তার সরকার, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আমিরুজ্জামান সুমন এবং শান্তি সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য অধ্যক্ষ শাহাদাত, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক আকাইদুজ্জামান, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র সাহা, অধ্যাপক অজয় কুমার সরকার, সহকারী রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. প্রহ্লাদ পালকে বদলির জন্য সুপারিশপত্র পাঠানো হবে। এছাড়া ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. নাজমুন নাহার রোজীকে বদলির জন্য কর্তৃপক্ষ সুপারিশপত্র পাঠাবে।

এছাড়া কাউন্সিলের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাকের আহমেদ, ডা. তন্ময় ও ডা. সাব্বিরকে হল ও ক্যাম্পাস থেকে ১০ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। ডা. দুর্জয়, ডা. জয়, ডা. সার্ফিনাজ, ডা. সার্দেকুল, ডা. শহীদুলকে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। অভিযুক্ত বহিরাগত ও ইন্টার্নরা কোনো ধরনের অনারারি প্রোগ্রাম (পোস্ট গ্র্যাজুয়েট বা ট্রেইনিং প্রোগ্রাম) বা চাকরি নিয়েও কলেজে আসতে পারবেন না।

Advertisement

এছাড়াও আলিফ, নওশীদ, আনিসকে হল ও ক্যাম্পাস থেকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার এবং ইন্টার্ন ডা. ফাহিম ও ডা. আজিজকে হল ও ইন্টার্নশিপ থেকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হবে। বহিরাগত ডা. শাফিন, ডা. নুরুজ্জামানকে তিন বছরের জন্য ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত থাকবেন।

একইসঙ্গে পরোক্ষভাবে ভীতি প্রদর্শন ও গুজব ছড়ানোর দায়ে ছাত্র নওশীন, ঋতিকা, কেয়াকে সব ছাত্রীনিবাস ও ইন্টার্ন হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে ও মুচলেকার সিদ্ধান্ত হয়। বহিরাগত ডা. সাগরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। গুজব রটানোর জন্য প্রমাকে সব ছাত্রীনিবাস ও ইন্টার্ন হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে ও মুচলেকা দিতে হবে। পরোক্ষভাবে বহিরাগত উসকানিদাতা ডা. মজনু মিয়া, ডা. মাইদুল, ডা. রাতুল, ডা. আসাদুজ্জামান, ডা. নবাবকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।

Continue Reading
Advertisement