নিজের সঙ্গে কোন সুগন্ধি ভালো যাবে বা কতক্ষণ স্থায়ী হবে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখা দরকার।
অনেকে আবার অন্যের ব্যবহৃত সুগন্ধ পছন্দ করে নিজের জন্য সংগ্রহ করেন। তবে দেখা যায় সেটা নিজের ক্ষেত্রে ভালো যাচ্ছে না। এর পেছনে রয়েছে নানান কারণ।
ভারতের ‘আজাহ পরফিউমস’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সুগন্ধি বিশেষজ্ঞ আকাঙ্ক্ষা বিশত এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। টাইমস অফ ইন্ডিয়া’তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল বিস্তারিত।
নির্দেশিকার দিকে মনোযোগ দেওয়া
প্রতিটা সুগন্ধিতে আলাদা আলাদা নির্দেশিকা থাকে যা সামগ্রিক ঘ্রাণ নির্ধারণ করে। সাধারণত তিনটি ভিন্ন ধাপ থাকে- বেইজ, টপ, মধ্যম বা হার্ট। আর এগুলো একসঙ্গে নির্দিষ্ট সুগন্ধ হিসেবে কাজ করে।
সুগন্ধগুলো সাধারণত বিভিন্ন নোট হিসেবে ভাগ করা হয়।
যেমন- ফুলের ভিন্ন সুগন্ধ গোলাপ, গার্ডেনিয়া, জেরানিয়ামের মতো গন্ধ। সিট্রাস বা টক-জাতীয় ফল যেমন আপেলের সুগন্ধ।
ভিন্নধর্মী ও কড়া সুগন্ধির মধ্যে রয়েছে মসলাদার ঘ্রাণ যেমন- স্টার অ্যানিস বা দারুচিনির ঘ্রাণ।
এভাবে বিভিন্নভাবে ভাগ করা গন্ধগুলো নিজের রুচি অনুযায়ী নির্দেশিকা সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়।
ঘনত্ব নির্বাচন করা
ঘনত্বে ভিত্তিতে সুগন্ধি চার রকমের হয়ে থাকে। ঘনত্ব যত বেশি, দামও তত বেশি হয়। সাধারণত বেশি ঘনত্বের সুগন্ধি শক্তিশালী ঘ্রাণ ও দীর্ঘস্থায়ী হয়। এটা সম্পূর্ণ একটা দিন স্থায়ী হতে পারে।
এর পরের স্তর হল ‘উ দো পার্ফাম’ যা ব্যবহারের পর সাধারণত ছয় ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
তৃতীয় ধাপ হল ‘উ দো টোয়েলেট’। এটা সারাদিন স্থায়ী করতে একাধিকবার ব্যবহার করতে হয়।
আর সর্বশেষ ও কম মূল্যের সুগন্ধি হল ‘উ দো কোলন’। এটা সাধারণত দুই ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয় না।
তাই সুগন্ধি বাছাই করার সময় উপরের ধাপগুলো খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে, দেহের নির্দিষ্ট কিছু হরমোন এবং ‘ফেরোমোনজ’ বা দেহের গন্ধের সঙ্গে সুগন্ধি বিক্রিয়া করে ঘ্রাণে খানিকটা পরিবর্তন আনতে পারে।