জেনে রাখুন, সুস্থ থাকুন
বাড়ছে সিওপিডিতে মৃত্যু ঝুঁকি, সিওপিডি সম্পর্কে জানুন, সুস্থ থাকুন
সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ) হলো ফুসফুসের একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ যার ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস বাধাগ্রস্ত হয়। সিওপিডি দ্বারা ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হলে শ্বাসনালির দেয়াল ফুলে যায় এবং শ্বাসনালির ভেতর আঠালো মিউকাস তৈরি হয়। ফলে শ্বাসনালির ভেতর কম বাতাস প্রবেশ করতে পারে এবং ফুসফুসের ভেতরের ক্ষুদ্র বায়ুথলিগুলোতে বাতাস আটকে থাকে তাই ফুসফুস পরিপূর্ণ অনুভূত হয়।
কীভাবে আপনি সিওপিডি নির্ণয় করবেন?: একটি সহজ ‘স্পাইরোমেট্রি’ পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি জেনে নিতে পারেন আপনার সিওপিডি আছে কি না। ‘স্পাইরোমেট্রি’ আপনার ফুসফুসের কার্যকারিতা পরিমাপের একটি সহজ পরীক্ষা, যার মাধ্যমে আপনি নির্ণয় করতে পারবেন আপনার সিওপিডি আছে কি না।
সিওপিডি কাদের হয়?: সিওপিডি কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সিওপিডি হয়ে থাকে। যারা ধূমপান করেন অথবা অতীতে ধূমপান করতেন তাদের সিওপিডি হওয়ার ঝুঁকি বেশি। যে কোনো ধরনের ধূমপান হলো সিওপিডির প্রধান কারণ। যারা রান্নাঘরের ধোঁয়া অথবা ঘর গরম রাখার চুল্লি থেকে উৎপন্ন ধোঁয়ার সংস্পর্শে থাকেন তাদেরও সিওপিডিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সিওপিডি সাধারণত ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের হয়ে থাকে।
সিওপিডির উপসর্গ: দীর্ঘদিন ধরে কাঁশি, কাঁশির সঙ্গে কফ/ মিউকাস নির্গত হওয়া, বুকে চাপ অনুভব করা, শ্বাসকষ্ট, অবসাদ বা ক্লান্তিবোধ করা।
সিওপিডির ঝুঁকিগুলো: ধূমপান বা তামাকজাত পণ্য গ্রহণ, ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণ (রান্নার চুলা থেকে উৎপন্ন ধোঁয়া), ঘরের বাইরের বায়ুদূষণ, কলকারখানার ধুলোবালি এবং রাসায়নিক বর্জ্য।
সিওপিডি প্রতিকারের উপায়: ধূমপান পরিহার করতে হবে, ধুলোবালি এবং ধোঁয়া যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে, নিয়মিত হাঁটা এবং ব্যায়াম করতে হবে, স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম শিখুন, নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।