Connect with us

জেনে রাখুন, সুস্থ থাকুন

নিউমোনিয়ার লক্ষণ ও করণীয়

Published

on

নিউমোনিয়া একটি জটিল রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক মানুষ মারা যায়। বিশেষ করে শীতের সময়ে এই রোগের প্রকোপ বাড়ে।

শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক- সব বয়সের মানুষকেই আক্রান্ত হতে হচ্ছে এই রোগে। পৃথিবীতে মৃত্যুর অষ্টম কারণ হিসেবে চিহ্নিত এ রোগ।

নিউমোনিয়া কী?

নিউমোনিয়া হলো- মানব শরীরের ফুসফুসের সংক্রমণজনিত বা প্রদাহজনিত একটি রোগের নাম। সাধারণত ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক কিংবা ভাইরাসের সংক্রমণে এই রোগের সৃষ্টি হয়। অ্যাডেনো ভাইরাস, রাইনো ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস এবং প্যারেনোফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণে দেখা দেয় এ রোগ।

রোগের কারণ

Advertisement

ফুসফুসে স্ট্রেপ্টোকোকাস ব্যাকটেরিয়া ও শ্বাসযন্ত্রের আর এসভি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে এই রোগের উৎপত্তি। এই সংক্রমণের ফলে ফুসফুস ফুলে ওঠে এবং নিঃশ্বাস নেয়ার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। ফলে অক্সিজেন গ্রহণে সমস্যায় পড়তে হয়। এই রোগ মূলত শিশু এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। কারণ এই বয়সে শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেকটাই কম থাকে।

এই রোগ ছোঁয়াচে নয়। আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি বা হাঁচি থেকে এই রোগের জীবাণু অন্য ব্যক্তির মধ্যে প্রবেশ করতে পারে।

যেসব লক্ষণে বুঝবেন নিউমোনিয়া-

১. জ্বর ও ক্লান্তি অনুভব করা।

২. মাত্রাতিরিক্ত ঘাম ও কাশি হওয়া।

Advertisement

৩. শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট।

৪. বুকে ব্যথা ও শরীরে কাঁপুনি।

৫. মাথাব্যথা ও শরীরের মাংসপেশি ব্যথা।

৬. খাওয়ার প্রতি অনীহা ও বমি বমি ভাব।

চিকিৎসা

Advertisement

এই রোগের চিকিৎসা সাধারণত নির্ভর করে কী ধরনের নিউমোনিয়া রোগীকে আক্রমণ করছে তার ওপর।

১. জ্বর, সর্দি-কাশি হলে যদি কমতে না চায়, তবে দুই থেকে তিন দিনের মাথায় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

২. ডাক্তারের পরামর্শে সিটিস্ক্যান এবং বুকের এক্সরে করাতে হবে।

৩. সঠিক রক্ত পরীক্ষা এবং কফ বা শ্লেষ্মা পরীক্ষা করতে হবে।

৪. ওষুধ চলাকালীন পাঁচ থেকে ছয় দিনের মাথায় না কমলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।

Advertisement

৫. চিকিৎসা চলাকালীন অ্যান্টিবায়োটিকের সম্পূর্ণ কোর্স গ্রহণ করবেন।

Continue Reading
Advertisement