অন্যান্য ক্যানসারের তুলনায় অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে মৃত্যুর হার অনেকটাই বেশি। অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার সহজে চিহ্নিত করা যায় না বলে এর ভয়াবহতাও বেশি বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। সাধারণত হালকা মানের জন্ডিস এই ক্যান্সারের প্রধান লক্ষণ। তবে জন্ডিস হলে যেহেতু সাধারণত ক্যান্সারের পরীক্ষা করা হয় না, ফলে সহজে ধরা পড়ে না এই রোগ। যখন ধরা পড়ে তখন অনেকটাই ছড়িয়ে যায়।
আর দেরিতে ধরা পড়া বলে এ ক্যান্সারকে নীরব ঘাতক বলা হয়। এজন্য সতর্ক থাকার পাশাপাশি নিয়মিয় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
এই ক্যান্সার নির্ণয় করা কঠিন নয় শুধু তাই নয়, এটি ক্যান্সারের সবচেয়ে বেদনাদায়ক রূপগুলোর একটি বলেও বিবেচিত হয়। অগ্ন্যাশয় বা তার চারপাশে ক্যান্সার কোষ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেলে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ৫০ শতাংশ রোগীর শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা বাড়তে পারে।
নারীদের তুলনায় পুরুষদের অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার বেশি দেখা যায়। ধূমপায়ী পুরুষদের এই ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। যারা রেড মিট এবং চর্বিযুক্ত খাবার খান তাদেরও অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
‘আমেরিকান সোসাইটি অব ক্লিনিকাল অনকোলজি’র তথ্যানুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচাইতে বেশি প্রাণঘাতি ক্যান্সারের তালিকায় প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার বা অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার চতুর্থ।
অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের প্রধান কিছু লক্ষণ—
• চোখের সাদা অংশ বা ত্বক হলুদাভ ভাব, ত্বকে চুলকানি, প্রস্রাব গাঢ় এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ফ্যাকাসে হতে পারে।
• ক্ষুধামন্দা ও ওজন কমে যাওয়া।
• অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ করা।
• জ্বর, শরীরে কাঁপুনি অনুভব করা।
• ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা মলে পরিবর্তন আসা।
• পেটের ওপরের অংশে বা পিঠে ব্যথা,বদহজমের লক্ষণ দেখা দিতে পারে বা পেট ফোলা ভাব হতে পারে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : এ লেখাতে অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার সম্পর্কে কেবল প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়েছে। যেকোনো প্রয়োজনে, এ রোগ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ও চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।