Connect with us

জেনে রাখুন, সুস্থ থাকুন

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত বমি কেন হয়? হলে কি করবেন?

Published

on

গর্ভাবস্থায় বমিভাব সাধারণ গর্ভকালীন উপসর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে সবার ক্ষেত্রে এ উপসর্গের তীব্রতা এক রকম হয় না। কারও তেমন বমিভাব নাও হতে পারে, আবার কারও এ সময় অনেক বমি হয়। বমি অনেক বেশি পরিমাণে হলে গর্ভবতী নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়।

অতিরিক্ত বমির কারণ
গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস সময়েই সাধারণত বমিভাব হয় এবং কখনো অতিরিক্ত বমি হয়। তবে গর্ভকালের প্রথম তিন মাস সময় পার হয়ে গেলে আস্তে আস্তে একসময় বমিভাব কমে যায়। সাধারণত প্রথম সন্তানের আগমন, অনাকাক্সিক্ষত সন্তান ও একই পরিবারে মায়ের এ সমস্যা থাকলে পরবর্তী সময়ে তার মেয়ের গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত বমি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। গর্ভাবস্থার কারণে একজন মায়ের শরীরে বিদ্যমান অতিরিক্ত হরমোনের কারণেই সাধারণত এই বমিভাব বা বমি হয়ে থাকে। আর অতিরিক্ত বমি হওয়ার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের ঘাটতি দেখা দেয়।

কোনো কিছু খেতে না পারায় দ্রুত ওজন হ্রাস পায়। অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থ (কিটোন বডি) শরীরে জমা হতে থাকে। আমিষ ও ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেয়। জন্ডিস ভাব দেখা দেয়। রক্তের উপাদান বেড়ে গিয়ে রক্ত ঘনীভূত হয়। রক্তশূন্যতা, প্রস্রাবের পরিমাণ কম হওয়া, মস্তিষ্কের রোগ এছাড়া জন্মগত ওজন কম হওয়ায়ও পুষ্টিহীনতায় পড়তে পারে অনাগত সন্তান।

এক্ষেত্রে করণীয়
মানসিকভাবে মেনে নেওয়া যে গর্ভাবস্থায় বমিভাব বা অল্প বমি হতে পারে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই দাঁত ব্রাশ না করে একটি বা দুটি বিস্কুট খেয়ে কিছুক্ষণ পর ব্রাশ করা।

Advertisement

অতিরিক্ত ঝাল বা ঝোলযুক্ত খাবার না খাওয়া। একেবারে অনেকখানি না খেয়ে একটু পর পর খাওয়া। মুখে থুতু জমে গেলে বারবার থুতু না ফেলা। পাশাপাশি বমিভাবের জন্য চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ খাওয়া।

যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে
যদি অতিরিক্ত বমি হয়, তবে বাসায় না রেখে গর্ভবতী মাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। অনেক সময় মুখে খাবার না দিয়ে শিরায় স্যালাইন এবং ভিটামিন ও বমি বন্ধের ইনজেকশন দিয়ে বমি বন্ধ করতে হবে। বমি বন্ধ হওয়ার পর যদি ২৪ ঘণ্টা না হয়, তখন অল্প অল্প করে মুখে খাবার শুরু করতে হবে।