Connect with us

জেনে রাখুন, সুস্থ থাকুন

অন্ধত্বের যত কারণ এবং প্রতিরোধ করার উপায়

Published

on

চোখের সমস্যা কম-বেশি সবারই হতে পারে। কিন্তু অনেকে বুঝতে পারেন না যে, তার চোখে সমস্যা হয়েছে। তিনি জানেন না, কখন চোখের ডাক্তার দেখাবেন। এ ক্ষেত্রে নিজের চোখের অবস্থা ও লক্ষণ দেখে বুঝে নিতে হবে। চোখের কিছু লক্ষণে আপনাকে সাবধান হতে হবে। যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে। দৃষ্টিশক্তির পক্ষে সবচেয়ে বিপজ্জনক রোগগুলো নানা কারণে হতে পারে। এক এক করে দেখে নেওয়া যাক সেই রোগগুলোর ধরনধারণ।

দৃষ্টিশক্তির অক্ষমতার কারণে অন্ধত্ব হয়। বিভিন্ন কারণে মানুষ দৃষ্টিশক্তি হারায়। তবে কিছু সমস্যা রয়েছে যেগুলোর চিকিৎসা আগে থেকে নিলে অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা যায়।

তীক্ষ্ম দৃষ্টি ও সুন্দর জীবনের জন্য কিছু রোগ রয়েছে যাকে আমরা প্রতিরোধ করতে পারি। একে বলে প্রিভেন্টেবল ব্লাইন্ডনেস। প্রিভেন্টেবল ব্লাইন্ডনেস নিয়ে ডাব্লিউএইচও ১৯৯৯ থেকে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের একটি প্রজেক্ট রয়েছে ভিশন ২০২০। অর্থাৎ ২০২০ সালের মধ্যে প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্বকে আমরা কমিয়ে আনতে চাই।

ছানি : এর মধ্যে খুব প্রচলিত হলো ছানি। সাধারণত বয়স বাড়লে ছানি হয়। আরো কিছু কারণে হতে পারে। আঘাতের জন্য হতে পারে। কিছু সিস্টেমিক রোগের জন্য হতে পারে। বেশি প্রচলিত হলো ডায়াবেটিস মেলাইটাস। এর থেকে হতে পারে। কিছু ওষুধের জন্য হতে পারে। এটা সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য।

আনকারেকটেড রিফ্লেকটিভ এরোর : আরেকটি রয়েছে আনকারেকটেড রিফ্লেকটিভ এরোর। চোখের দৃষ্টির সমস্যা যাকে বলি। যার জন্য আমরা চশমা ব্যবহার করি। এটা সম্পূর্ণ প্রতিরোধযোগ্য। ধরুন, বাচ্চা বয়সে কারো চোখের সমস্যা হলো, বাচ্চাদের চার বছর বা পাঁচ বছরে সমস্যা হলো, ওই বাচ্চা কিন্তু বুঝতে পারে না যে সে কম দেখে। সে যতটুকু দেখে, সে মনে করে এতটুকুই স্বাভাবিক। অভিভাবকদের দায়িত্ব স্কুলে যাওয়ার বয়সে বাচ্চাদের চোখ পরীক্ষা করা। তাহলে আনকারেকটেড রিফ্লেকটিভ এরোর থেকে আমরা সম্পূর্ণ মুক্তি পেতে পারি। স্কুলে যাওয়ার বয়সে যদি শিশুর পাওয়ারে সমস্যা থাকে, আমরা তাকে সহজে চশমা দিয়ে দৃষ্টি ফিরিয়ে আনতে পারি। তাহলে তার কিন্তু দৃষ্টির কোনো সমস্যা হবে না।

Advertisement

গ্লুকোমা : তিন নম্বর কারণ হলো গ্লুকোমা। চোখেরও প্রেসার থাকে। চোখের প্রেসারজনিত কারণে প্রধানত রেটিনা ও অপটিক নার্ভের সমস্যা হয়। এটি থেকে ঠিক করা যায় না এমন ক্ষতি হতে পারে। এই ইরিভারসেবল ডেমেজ থেকে উদ্ধার পেতে হলে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। রোগীদের সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং আমরা যারা চিকিৎসক, তাদেরও রোগীদের প্রতি যত্নবান হতে হবে। তাহলে আমরা গ্লুকোমা থেকে রোগীদের বাঁচাতে পারি।

ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি : এরপর রয়েছে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি। আবার বয়সজনিত রোগের কারণে চোখের রেটিনাতে কিছু পরিবর্তন হয়। তারপর রয়েছে কর্নিয়াল ওপাসিটিস। কর্নিয়াল ওপাসিটি বাচ্চাদের ভিটামিন এ – এর অভাবে হতে পারে। আঘাতের জন্য হতে পারে। কিছু রোগ রয়েছে যাকে ট্র্যাকোমা বলি- এর জন্য হতে পারে। এসব রোগ আমরা সম্পূর্ণ প্রতিরোধ করতে পারি জনগণের সচেতনতার মাধ্যমে। আর আমরা যারা চিকিৎসক, তারা চিকিৎসা দিয়ে কাজ করতে পারি।

Advertisement
জেনে রাখুন, সুস্থ থাকুন4 weeks ago

ওষুধ খাওয়ার ভুলে অসুস্থতা

জ্বর বা মাথাব্যথা হলেই প্যারাসিটামল, অ্যালার্জির জন্য হিস্টাসিন কিংবা গ্যাসের ট্যাবলেট- এই ধরনের ওষুধগুলো আমরা হরহামেশাই খাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই।...

খাদ্য ও পুষ্টি1 month ago

শিশুদের জন্য লবণ যতটুকু দরকার

অতিরিক্ত লবণ শিশুর বৃদ্ধিতে বাধা প্রদানের পাশাপাশি অল্প বয়সে রক্তচাপের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। খাদ্যাভ্যাসে এমন পরিমাণ লবণ রাখতে হবে যা...

জেনে রাখুন, সুস্থ থাকুন1 month ago

ওষুধ খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কেন

বয়সে টিংকু বেশ ছোট। এত ছোট যে মাঝেমধ্যে টিংকুর দাঁত পড়ে। একবার বিড়াল টিংকুকে আঁচড়ে দিল। চিকিৎসক বললেন যে র‌্যাবিসের...

Advertisement