কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে উদ্বোধনের পর রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে আজ বৃহস্পতিবার ৫৪১ জন করোনাভাইরাসের টিকা নেন। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) এক চিকিৎসক দম্পতিও টিকা নিয়েছেন। তাঁরা হলেন হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মামুন-আল-মাহতাব স্বপ্নীল ও তাঁর স্ত্রী অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরীও। ডা. নুজহাত শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরীর মেয়ে।
টিকা নেওয়ার পর বিএসএমএমইউর লিভার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন-আল-মাহতাব স্বপ্নীল ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. নুজহাত চৌধুরী তাঁদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্। করোনা প্রতিরোধকারী ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিলাম আজকে। এত দ্রুত ভ্যাকসিন পাবার ব্যবস্থা করে দেবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। সেই সাথে জীবন রক্ষাকারী এই ভ্যাকসিন উপহার দিয়ে আবারও প্রকৃত বন্ধুর মত পাশে দাঁড়ানোর জন্য ভারতের কাছে কৃতজ্ঞতা। একটি ভয়াবহ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অস্ত্র এই ভ্যাকসিন।’
সবার উদ্দেশ্যে এই চিকিৎসকদ্বয় বলেছেন, ‘কোন অনর্থক ভয় অথবা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে নিজেকে ও নিজের প্রিয়জনকে রক্ষার এই সুযোগ থেকে নিজেদের বঞ্চিত করবেন না। ভ্যাকসিন নেবার পাশাপাশি এটাও মনে রাখতে হবে যে মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্বের বাধ্যবাধকতা কিন্তু বহাল আছে ও থাকবে। মাস্ক পরুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন, ভ্যাকসিন নিন- পৃথিবীকে করোনা ভাইরাসমুক্ত করতে আপনার দায়িত্ব পালন করুন।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিএসএমএমইউতে আজ ১৯৮ জন করোনাভাইরাসের টিকা নেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, বিএসএমএমইউর উপাচার্য প্রফেসর কনক কান্তি বড়ুয়া, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান, তথ্য সচিব খাজা মিয়া ও তাঁর স্ত্রী সরকারের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। এ ছাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক, রেসিডেন্ট শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, আনসাররাও টিকা নিয়েছেন।
আজ বিএসএমএমইউতে ১৯৮ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২০ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১০০ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬৫ জন ও কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৫৮ জন করোনাভাইরাসের টিকা নেন।