Connect with us

প্রধান খবর

প্রথমবারের মতো বিএমইউতে চালু হতে যাচ্ছে ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগ

Published

on

দেশে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) ইমারজেন্সি মেডিসিন এবং জেরিয়াট্রিক মেডিসিন বিভাগ চালু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। পাশাপাশি দেশে জরুরি সেবাদানের ব্যবস্থা না থাকা এবং এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকার কথাও জানান তিনি।

সম্প্রতি রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘স্বাস্থ্য সেবায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার অভাবে আমরা জনশক্তি তৈরির দিকে কখনোই গুরুত্ব দেইনি। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে ‘ইমারজেন্সি মেডিসিন’ নামে কোনো শাখা (ডিসিপ্লিন) নেই। ৫৪ বছর হয়ে গেল দেশ স্বাধীন হয়েছে, অথচ জরুরি চিকিৎসা সেবায় কোনো বিশেষজ্ঞ নেই এবং এ বিষয়ে শিক্ষাদানের কোনো ব্যবস্থা নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আশা করছি, বিএমইউর ২০২৬ সালের মার্চ সেশনে ইমারজেন্সি মেডিসিন এবং জেরিয়াট্রিক মেডিসিন—এই দুইটি বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। দেশে জরুরি সেবার অবস্থা এমন হওয়ার কারণ হলো—এ বিষয়টিকে এখনো স্বতন্ত্রভাবে গড়ে তোলা হয়নি।’

এ ছাড়া বিদেশি চিকিৎসকরা দেশে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার বিষয়ে অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, অনুমতি ছাড়া চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিদেশি চিকিৎসকদের এক্সপোটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বন্ধ করে দেয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সিভিল সার্জন গিয়ে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করেন।

Advertisement

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, পৃথিবীতে স্বীকৃত পদ্ধতি হলো—বিদেশি চিকিৎসককে সেবা দিতে অস্থায়ী লাইসেন্স নিতে হয়। সেটা অল্প সময়ের জন্যও হতে পারে, আবার সেটা এক বছর, দুই বছর মেয়াদেরও হতে পারে। বিদেশি বিনিয়োগের হাসপাতাল হলে বিনিয়োগের সুবাদে তারা সেখানে লম্বা সময়ের অনুমতি পান। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এক্সপোতে আসা চিকিৎসকরা অনুমতি নিয়েছেন কিনা? এই প্রশ্ন উত্থাপন হওয়া দরকার।

বিদেশি চিকিৎসকরা দুইভাবে চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ পান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাঁরা দুইভাবে আসেন। বিদেশি বিনিয়োগের হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া চিকিৎসকের সুযোগ পাওয়ার পদ্ধতি এক রকম। ব্যক্তিগতভাবে এলে তার পদ্ধতি আরেক রকম। তবে দুই ক্ষেত্রেই অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি ছাড়া চিকিৎসা সেবা দিলে বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অতএব অনুমতি ছাড়া কোনো বিদেশি চিকিৎসক আমাদের আওতার মধ্যে চিকিৎসা দিলে শাস্তি প্রয়োগ করা যাবে। এ ক্ষেত্রে তাঁর নিজ দেশের রেগুলেটরি বডির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরকে অবহিত করা যাবে যে, তিনি বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশে এসে প্রফেশনাল প্র্যাকটিস করেছেন।’

সুনিদির্ষ্টি রেফারেল সিস্টেম না থাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে গিয়ে রোগীদের খরচ বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে এখনো পেশাগত ফি নির্ধারিত হয়নি। দরিদ্র রোগীর স্বার্থে চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। তবে মূল সমস্যা হলো, রেফারেল সিস্টেম না থাকায় রোগীরা সরাসরি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন। এতে খরচ অকারণে বেড়ে যাচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে রোগের প্রতিষেধক হিসেবে বিবেচিত কোনো জিনিসের বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না বলে জানান অধ্যাপক সায়েদুর রহমান। বলেন, ‘খাদ্যদ্রব্য বা যে কোনো জিনিস যখন রোগ সারাতে সক্ষম হবে, তখন একে ওষুধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তখন কেউ সামাজিক যোগাযোগ বা কোনো মাধ্যমে এ নিয়ে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন না। বাংলাদেশে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট আইন আছে। প্রযুক্তির সহায়তায় খুব সহজে এ বিজ্ঞাপন বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া হবে। খুব দ্রুতই এ নিয়ে দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখতে পাবেন।’

বিশেষ সহকারী বলেন, ওষুধের দাম নির্ধারণে সরকার কোনো ধরনের হোস্টাইল অবস্থান নিতে চায় না। তবে বিশ্বমানের অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে, যুক্তি ও ন্যায়ঙ্গত মুনাফার সুযোগ রেখে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে রোগীদের জন্য দাম নির্ধারণ করা হবে।

Advertisement
Continue Reading
Advertisement