Connect with us

স্বাস্থ্য সংবাদ

জনসনের এক ডোজের টিকা দেশে অনুমোদন

Published

on

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়েছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এ নিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মোট ছয়টি টিকা অনুমোদন দিল বাংলাদেশ সরকার।

তবে আগে অনুমোদন পাওয়া ছয়টি টিকার সবগুলোই দুই ডোজের টিকা। জনসনের টিকাই কেবল এক ডোজের।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানিয়েছে, জনসনের টিকাটি ১৮ বছর এবং তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের এবং সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্ধারিত বয়সের ব্যক্তিদের দেওয়া যাবে।

এই টিকাটি সংরক্ষণ তুলনামূলক সহজ। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মতোই এটি ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়।

এর আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড, রাশিয়ার তৈরি স্পুৎনিক-ভি এবং চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের তৈরি টিকা, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজার এবং জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি করা টিকা অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

Advertisement

গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে জনসনের এক ডোজের টিকা অনুমোদন পেয়েছিল। তবে ছয়জন রোগীর ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধার মতো প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার পর তা প্রয়োগ স্থগিত করা হয়েছিল। যাচাই শেষে এপ্রিলে আবার এই টিকা প্রয়োগের অনুমতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

গত মার্চেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা অনুমোদন দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনস্ট্রেশন (এফডিএ) বলছে, জনসনের টিকা করোনাভাইরাসের ব্রাজিলে, যুক্তরাজ্যে, দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া ধরন ঠেকাতে কার্যকর বলে প্রমাণ পেয়েছে তারা।

জনসন অ্যান্ড জনসনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জেনসেন ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি এই টিকার ৬৬ শতাংশ কার্যকারিতা পাওয়া গিয়েছিল বিশ্বজুড়ে ব্যাপক পরীক্ষামূলক প্রয়োগে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কার্যকারিতার হার ছিল ৭২ শতাংশ।

পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর জনসন অ্যান্ড জনসনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. পল স্টোফেলস এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, তাদের টিকা কোভিড-১৯ এর মারাত্মক ও প্রাণঘাতী পরিণতি থেকে কোটি মানুষকে সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা দেবে।

Advertisement
Continue Reading
Advertisement