Connect with us

জেনে রাখুন, সুস্থ থাকুন

নিউরালজিয়া: আপনার যা জানা দরকার

Published

on

নিউরালজিয়া হলো এক ধরনের তীব্র, ধারালো, বা বৈদ্যুতিক-সদৃশ স্নায়ু ব্যথা যা বিভিন্ন ধরনের স্নায়ুর ত্রুটির কারণে ঘটে থাকে, যেমন ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া (মুখের স্নায়ু) বা গ্লসোফ্যারিঞ্জিয়াল নিউরালজিয়া (গলা ও জিহ্বার স্নায়ু)। এর লক্ষণগুলো হলো তীব্র ব্যথার আক্রমণ, যা সম্পূর্ণভাবে চলে যেতে পারে বা আবার ফিরে আসতে পারে। চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে ওষুধ গ্রহণ বা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার।

নিউরালজিয়ার কারণ:
স্নায়ু সংকোচনের কারণে: প্রধানত কোনো রক্তনালী দ্বারা স্নায়ু সংকুচিত হলে এমনটা হয়, যেমনটি ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়ার ক্ষেত্রে ঘটে।

আঘাত বা ক্ষতিগ্রস্ত স্নায়ু: মুখের বা দাঁতের আঘাত, বা অস্ত্রোপচারের সময় স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলেও নিউরালজিয়া হতে পারে।
অন্যান্য রোগ: আলঝাইমার, স্ট্রোক, মৃগী বা পার্কিনসন রোগের মতো কিছু স্নায়বিক অবস্থার কারণেও নিউরালজিয়া দেখা দিতে পারে।

নিউরালজিয়ার প্রকারভেদ ও লক্ষণ:
ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া: মুখমণ্ডলের ট্রাইজেমিনাল স্নায়ুতে তীব্র, বিদ্যুৎ-সদৃশ ব্যথা হয়। এই স্নায়ুর তিনটি শাখা রয়েছে – চোখ ও কপাল (V1), গাল ও নাক (V2), এবং কান, জিহ্বা, চিবুক (V3)।
গ্লোসোফ্যারিঞ্জিয়াল নিউরালজিয়া: গলার পিছন, জিহ্বা বা কানের কাছে তীব্র ব্যথার আক্রমণ হয়, যা গ্লসোফ্যারিঞ্জিয়াল স্নায়ুর ত্রুটির কারণে ঘটে।
পেরিফেরাল নিউরালজিয়া: হাত, পা, বাহু ও পায়ে ব্যথা বা অসাড়তা হতে পারে, যা কোনো একটি স্নায়ু বা স্নায়ু সমষ্টিকে প্রভাবিত করতে পারে।

নিউরালজিয়ার চিকিৎসা:
ওষুধ: কার্বামাজাপাইন, ক্লোনাজেপাম, বা অ্যামিট্রিপটাইলাইনের মতো ওষুধ দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়।
অস্ত্রোপচার: কিছু ক্ষেত্রে, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স্নায়ুর ওপর চাপ কমানো বা ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ঠিক করা যেতে পারে।
আপনার যদি এই লক্ষণগুলি থাকে, তবে সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Advertisement
Continue Reading
Advertisement