Connect with us

প্রধান খবর

‘মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে ভুল ধারণা দিন দিন বাড়ছে’

Published

on

দেশে দিন দিন মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে ভুল ধারণা বাড়ছে বলে মন্তব্য করছেন বিশেষজ্ঞরা। বলছেন, মানসিকভাবে অসুস্থতাকে পাগলামি বলার কুসংস্কার এখনও আমাদের সমাজে রয়ে গেছে। এ সমস্যা নিরসনে সচেতনতামূলক কার্যক্রম নিতে হবে বলেও মনে করছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের মানসিক স্বাস্থ্য শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস (বিএপি)।

বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাব্য সমাধান। বৈঠকে গণঅভ্যুত্থানের সমন্বয়কারীরা ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেবে। মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি এবং সেবার পরিধি বিস্তৃত করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও মতবিনিময় হয়। আলোচনা করা হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত রোগীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক নিতে আসা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের ওপর পরিচালিত গবেষণার বরাত দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মানসিক রোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামসুল আহসান মাকসুদ বলেন, আহতদের ৬৫ শতাংশের পিটিএসডি উপসর্গ, ৩০ শতাংশের খুব তীব্র মাত্রার বিষণ্নতা, ৪৩ শতাংশের উদ্বেগ ও ৫০ শতাংশের অনিদ্রাজনিত সমস্যা রয়েছে। কিন্তু মাত্র ৮ শতাংশ মানসিক সাহায্যের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।

তিনি বলেন, মূলত চিকিৎসার অনিশ্চয়তা, চাকরি, সামাজিক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলো আহতদের প্রধান উৎকণ্ঠার বিষয়। আগামী দিনের মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে গেলে পর্যাপ্ত মানসিক সাহায্যর ব্যবস্থা করা জরুরি।

Advertisement

এ সময় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মুনতাসীর মারুফ বলেন, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে অভ্যুত্থানে আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় পুরুষ রোগীদের জন্য ১০ শয্যার আলাদা ওয়ার্ড ও নারী রোগীদের জন্য ১০ শয্যার আলাদা ওয়ার্ড রয়েছে। এ ছাড়া সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন অফিস সময়ে অভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বিনামূল্যে বিশেষ কাউন্সেলিং/ সাইকোথেরাপি সেবার ব্যবস্থা রয়েছে।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টসের (বিএপি) আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আব্দুল মোত্তালিবের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক আলী নাসির খান, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম ওয়ালিউল্লাহ, বিএসএমএমইউ মানসিক রোগ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাহউদ্দিন কাওসার বিপ্লব, স্বাস্থ্যবিষয়ক কমিটির জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক শামা মাহরীন ও রাতুল চৌধুরীসহ অন্যরা।

Continue Reading
Advertisement