দেশে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে গর্ভবতী মায়েদের হাসপাতালে আসার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের দাবি, দেশে এখনো ৫০ শতাংশের অধিক ডেলিভারি বাসায় হচ্ছে। ফলে অনেক মা ও নবজাতক শিশু জরুরি মুহূর্তে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
শুক্রবার (৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) আয়োজিত স্বাভাবিক ডেলিভারি বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিশেষজ্ঞরা আরো বলেছেন, হাসপাতালে না আসায় শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার বাড়ছে দেশে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এখনো ৫০ শতাংশের অধিক ডেলিভারি বাসায় হচ্ছে। ফলে নবজাতক শিশু ও মা জরুরি মুহূর্তে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
ওজিএসবি সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম এসময়ে বলেন, সিজারিয়ান ডেলিভারি নিয়ে রোগীদের মধ্যে নানা ধরনের সংশয় ও ভুল ধারণা রয়েছে। শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে যাদের সিজারিয়ান ডেলিভারি প্রয়োজন, তাদেরকে অবশ্যই সেটি করতে হবে। অন্যথায় বিপদের শঙ্কা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ডেলিভারির বিষয়েও সংশ্লিষ্টদের আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। সংগঠনটির সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. গুলশান বলেন, সিজারিয়ান ডেলিভারি রোধে সেবাদাতাদের দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি তাদেরকে পর্যবেক্ষণের আওতায় আনাতে হবে।
এ ছাড়া ওজিএসবির অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসী বেগম বলেন, সিজারিয়ান ডেলিভারি কমাতে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
সংগঠনটির সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা বলেন, সিজারিয়ান ডেলিভারি রোধে সেবাদাতাদের দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি তাদেরকে পর্যবেক্ষণের আওতায় আনাতে হবে। পাশাপাশি তাদেরকে পর্যবেক্ষণের আওতায় আনাতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত গাইনি বিশেষজ্ঞ ও ওজিএসবির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. টি এ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান্দ বানু, অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার প্রমুখ।