গরুর মাংসের ক্ষেত্রে এখন সবচেয়ে বড় আতঙ্ক অ্যানথ্রাঙ্। কিন্তু এ ভয় এখন আর নেই। অনেকেই এখনো গরুর মাংস খাচ্ছেন না। তাই ডিসিসির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারেও নেওয়া হয়েছে উদ্যোগ। প্রতিটি হাটেই থাকবে একটি করে ভিজিলেন্স টিম। এ টিমে থাকবেন একজন করে পশু চিকিৎসক। হাসিল আদায়ের কক্ষের পাশেই থাকবে তাদের অবস্থান।
ক্রেতারা চাইলে এ চিকিৎসকদের মাধ্যমে বিনা খরচে অ্যানথ্রাঙ্ পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারবেন। তবে ক্রেতাদের প্রশ্ন, যখন পুরোদমে বিক্রি শুরু হবে তখন একজন মাত্র ডাক্তার কতটি গরু পরীক্ষা করবেন? হাটে ডাক্তারের সংখ্যা বাড়ানো এবং ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থানে কটি ক্যাম্প করলে অ্যানথ্রাঙ্ নির্ণয় আরো সহজ হতো।
এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডা. মো. আজমত আলী বলেন, ‘সরকারের প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে প্রতি হাটে একজন করে ডাক্তার দেওয়া হবে। এ ছাড়া ডিসিসির তিনজন পশু চিকিৎসক থাকবেন, তাঁরা সব হাটেই এ বিষয়টি দেখবেন। আমরা ইজারাদারদেরও ডাক্তার রাখার পরামর্শ দিয়েছি। তবে আশার বিষয়, ঢাকায় এখনো কোনো অ্যানথ্রাঙ্ আক্রান্ত পশু ধরা পড়েনি। অ্যানথ্রাঙ্ ছাড়াও গরু বা ছাগলের অন্যান্য রোগ হতে পারে, এর মধ্যে অন্যতম ক্ষুরা রোগ। এ জন্য ক্রেতাদের পশুর মুখ, পা এবং অন্য কোথায়ও ঘা আছে কি না তা দেখে নেওয়া উচিত। তবে আমার পরামর্শ, কোরবানির দু-একদিন আগে পশু কিনুন। এতে হাটে আনার আগে পশুর কোনো রোগ থাকলে লক্ষণগুলো ধরা পড়বে। বেশি চর্বিযুক্ত মোটা গরু কেনা উচিত নয়। কারণ, এগুলোর বেশিরভাগকেই মোটাতাজার জন্য ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। আর যে পশু ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করে এবং নড়াচড়া করে সেসব দেখেই ক্রেতাদের পশু পছন্দ
করা উচিত।’