জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেয়ে মেয়েরা মুটিয়ে নাও যেতে পারেন। আগে মুটিয়ে যাওয়ার ধারণাটি সত্য ছিল। তখন বড়িতে উচ্চমাত্রার হরমোন ব্যবহার করা হতো। এখন সে মাত্রা অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। আগে ১০০ থেকে ১৭৫ মাইক্রোগ্রাম ইস্ট্রোজেন যেখানে স্বাভাবিক মাত্রা ছিল, এখন সেটা হয়েছে ২০ থেকে ৫০ মাইক্রোগ্রাম। ইস্ট্রোজেন হরমোন শরীরের কয়েকটি স্থানে চর্বি জমাতে কাজ করে। হরমোনের এ নিম্নমাত্রার পরও জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবনে কেউ কেউ খানিকটা মুটিয়ে যেতে পারেন।
বড়ি সেবনের পর ২০ থেকে ২৫ ভাগ মহিলার দুই কেজি পর্যন্ত ওজন বাড়তে পারে।
৬০ ভাগ মহিলারই ওজনের কোনো পরিবর্তন ঘটে না।
আবার ১৫ থেকে ২০ ভাগ মহিলা বড়ি সেবনের পর দুই কেজি পর্যন্ত ওজন হারান।
জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িতে ইস্ট্রোজেনের সঙ্গে প্রোজেস্টেরন হরমোনটিও ব্যবহার করা হয়। এই হরমোনটি মানুষের রুচি বাড়ায়। এ কারণে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবনকারী স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি খেতে পছন্দ করেন। যাঁদের ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আসলে বেশি খাদ্যগ্রহণও একটি বড় কারণ।
লেখক : ডা. সাঈদা ফাতেমা, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ