রাজধানীর মতিঝিলে মধুমিতা সিনেমা হলের পিছনের পরিত্যক্ত সরকারি জায়গায় শিগগিরই সমবায় বাজার চালু করবে সরকার বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কৃষকরা উৎপাদিত ফসল এ বাজারে যাতে সহজেই নিয়ে আসতে পারে সে জন্য ট্রেনে নতুন বগি সংযোজন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘একটি বাড়ি একটি খামার : গণমাধ্যম কর্মশালা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘মধুমিতা সিনেমা হল সংলগ্ন সরকারি এক একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। উৎপাদিত ফসল নিয়ে ট্রেনযোগে কমলাপুর স্টেশনে নামার সঙ্গেই কৃষকরা যেন সহজেই তাদের ফসল বাজারে আনতে পারে তা বিবেচনা করেই এখানে বাজার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পটি দারিদ্র বিমোচনে আশানুরূপ ফল দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘‘এরই মধ্যে প্রকল্পটি বেশ সাড়া পেয়েছে। এ প্রকল্প সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি উঠোন বৈঠকেও তিনি অংশ নিয়েছেন। যেখানে গ্রামের সহজ সরল গরীব গৃহবধুরা তাদের সমস্যার কথা স্থানীয় জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারকে বলতে পেরেছে।’’
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট অর্থনীতীবিদ ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আবুল বারাকাত বলেন, ‘‘এ প্রকল্পে কর্মকান্ড সঠিকভাবে তদরকি করা হলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির দারিদ্র্যতা কেটে যাবে।’’
কর্মশালায় বলা হয়, ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর থেকে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। এর মধ্যেই দেশের ১৭ হাজার ৩শ’ গ্রাম, সাড়ে ৮৬ হাজার সেচ্ছাসেবক ১ লাখ ২১ হাজার প্রশিক্ষিত কর্মী তারা নির্বাচন করতে সক্ষম হয়েছেন।
কর্মশালায় আরো বলা হয়, প্রতি গ্রামে ৬০ জন ভুমিহীন ও গরিব লোককে নিয়ে একটি সমবায় সমিতি গঠন করা হবে। প্রতি সদস্য মাসিক ২শ’ টাকা করে চাঁদা দিবেন। আর তাদের দেয়া প্রতি ২শ’ টাকার বিপরীতে সরকারের পক্ষ থেকেও তাদের বোনাস সরূপ ২শ’ টাকা দেয়া হবে। এভাবেই দরিদ্র মানুষকে দরিদ্রমুক্ত করা হবে মাত্র ৫ বছরে।
কর্মশালায় সমবায় মন্ত্রালয়ের সচিব ড. মিহির কান্তি মজুমদারের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও ও একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের পরিচালক ড. প্রশান্ত কুমার রায়।