॥ ই-হেলথ২৪ রিপোর্টার ॥ ১৭ মে বৃহস্পতিবার বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে নানা কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে।
উচ্চ রক্তচাপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ রোগীটি আজ বিশ্বব্যাপী নীরব ঘাতক হিসেবে চিহ্নিত। উচ্চ রক্তচাপে হার্ট এ্যাটাক, ব্রেন এ্যাটাক, হৃদরোগ, কিডনি বিকল এবং অন্ধত্ববরণের শিকার হতে পারে।
বিশ্বে প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে শতকরা ২০ থেকে ২৫ ভাগ আক্রান্ত হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপে। সারাবিশ্বে প্রায় দেড় শ’ কোটি লোক উচ্চ রক্তচাপের শিকার এবং প্রতিবছর এ রোগে মারা যায় প্রায় ৭০ লাখ মানুষ। এর চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল। তাই যে কোন উপায়ে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, তুলনামূলকভাবে বেশি বয়সী, অধিক শিক্ষিত এবং ধনীদের মধ্যেই সাধারণত উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বেশি দেয়া যায়। উচ্চ রক্তচাপের সন্তোষজনক ব্যবস্থাপনা উচ্চ রক্তচাপের কারণে সৃষ্ট জটিলতা এবং মৃত্যুর মতো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা কমিয়ে আনতে পারে। হৃদরোগ সৃষ্টি, স্ট্রোক এবং কিডনি অকার্যকর করার পেছনে উচ্চ রক্তচাপ একটি বড় ধরনের ঝুঁকি।
বাংলাদেশের শহর ও গ্রামের কিছু সার্ভিলেন্স এলাকায় উচ্চ রক্তচাপের ওপর গবেষণা করে আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানীরা। দেশে উচ্চ রক্তচাপ নির্ণয় এবং ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত তথ্য খুব কম পাওয়া যায়। গ্রামাঞ্চলে প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রিবিহীন সেবাপ্রদানকারী বা চিকিৎসকরা উচ্চ রক্তচাপ নির্ণয়ে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন।
গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ গরিব মানুষকে মানসম্মত চিকিৎসা প্রদানের জন্য উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় গ্রাম ডাক্তারদের দক্ষতা বাড়ানো দরকার।