॥ মাহাবুব মাসফিক ॥ শরীরের অতিরিক্ত মেদ কারোই কাম্য নয়। সবাই থাকতে চায় স্লীম ফিগারে। কিন্তু মনের এমন আশাটুকুতে হতে পারে গুড়ে বালি। যদি জীবন যাপনে চলতে থাকে অনিয়ম। নিয়ম না মেনে, অসময়ে, বেশি পরিমানে খাবার গ্রহন করার ফলে তা আমাদের শরীরে প্রভাব ফেলে। শরীরের বিভিন্ন অংশে দেখা যায় অতিরিক্ত চর্বি। শরীরের এ মেদ বা চর্বি কমাতে অনেকেই ডায়েটিং করেন। কিন্তু ডায়েটিং করলেই মেদ কমানো যায় না। অন্যদিকে ডায়েটিং নিয়ম না মেনে করার ফলে অনেক সময় শরীরের এ্যর্নাজি লেভেল ও ঔজ্জ্বলতা কমে যায়। তাই সবকিছুর সমাধানে করতে হবে ব্যায়াম এবং তা নিয়ম মেনে সঠিক সময়ে। শরীরের অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি কমাতে কয়েকটি খালি হাতের ব্যায়াম-
১. র্দীঘশ্বাস টেনে যতক্ষন পারেন ধরে বাখুন। তারপর আস্তে আস্তে ছেড়ে দিন।
২. সোজা হয়ে দাঁড়ান। এবার হাঁটু না বাঁকিয়ে সামনের দিকে ঝুঁকে দুই হাতের আঙ্গুল দিয়ে পায়ের আঙ্গুল গুলো র্স্পশ করুন।
৩. দুই পায়ের মাঝে দুই ফুটের কিছুটা বেশি ফাঁক করে দাঁড়ান। এবার হাঁটু না বাঁকিয়ে ডান হাতের আঙ্গুল দিয়ে বাম পায়ের পাতা এবং বাহ হাতের আঙ্গুল দিয়ে হান পায়ের পাতা স্পর্শ করুন।
৪. মাটিতে সোজা হয়ে শুয়ে পড়–ন। পা দুটো টান টান করে আস্তে আস্তে উপরের দিকে ওঠান আর পেছনের দিকে যতদুর পর্যন্ত পারেন শরীরটাকে নামিয়ে আনুন। ১ থেকে ২৫ পযর্ন্ত গুনতে গুনতে উঠাতে থাকুন। এক্ষেত্রে লম্বাবেল্ট ব্যবহার করতে পারেন। তারপর আস্তে আস্তে নামিয়ে ফেলুন।
৫. মেঝেতে শুয়ে দুই হাত কোমরের নিচে চেপে রেখে পা দুটো সোজা করে মেলে দিন। এবার ধীরে ধীরে ডান পা হাঁটু ভেঁঙ্গে পেটের কাছে নিয়ে আসুন। কিছুসময় রেখে জোরে লাথি মারার ভঙ্গিতে সামনে ছুড়ে দিন। ডান পা সোজা করে রাখুন। এবার বাম পা হাঁটু ভেঁঙ্গে পেটের কাছে আনুন এবং একই ভাবে ছুড়ে দিন। হাঁটু ভাঁঙ্গার সময় গভীর ভাবে শ্বাস ফেলবেন আর পা ছুড়ার সময় গভীর ভাবে শ্বাস নিবেন।
৬. সোজা হয়ে শুয়ে দুই পা উপরে এনে সাইকেল চালানোর মতো করে ঘনঘন ঘুরিয়ে আনুন। এভাবে কয়েকবার সময় নিয়ে করতে থাকুন। প্রতিবার দীর্ঘক্ষন না করে ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড করুন।
৭. দুই হাত মাথার উপর সোজা করে রেখে দুই পায়ের মাঝে কিছুটা ফাঁকা রেখে দাড়ান। এবার ডান হাত দিয়ে ডান পা স্পর্শ করুন। এ ভঙ্গিতে কয়েক সেকেন্ড থাকুন, তারপর হাত উঠিয়ে আবার আগের মতো ফিরে আসুন। এবার বাম হাত দিয়ে বাম পা স্পর্শ করুন।
৮. হামাগুড়ি দেয়ার ভঙ্গিতে মাটিতে বসে পড়–ন। এবার পিটটাকে ধনুকের মতো করে বাঁকিয়ে নিয়ে মাথা ও ঘাড়টাকেও একই সঙ্গে নিচের দিকে নামাতে থাকুন। এবার আস্তে আস্তে মাথা উপরের দিকে তুলুন। সেই সঙ্গে পিটটাকে যতটা সম্ভব টান টান করে রাখুন।
খেয়াল রাখবেন:
১. প্রতি ক্ষেত্রে সব গুলো ব্যায়াম করবেন না। প্রতিবারে তিন থেকে চারটা ব্যায়াম করলেই চলবে।
২. ভরা পেটে ব্যায়াম করবেন না। খালি পেটে ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। না পারলে খাবার দুই ঘন্টা পরে করবেন।
৩. পেটের ব্যায়াম করার সময় খেয়াল রাখবেন পেটের উপর যেন কোন শক্ত বাঁধন না থাকে।
৪. একবার ব্যায়াম করা হলে হাত পা ছেড়ে দিয়ে সোজা হয়ে শুয়ে দেহের সব পেশি শিথিল করে চোখ বুজে শান্ত মনে খানিকক্ষন বিশ্রাম করে নিবেন।
৫. খাবারের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় জিনিস না খেয়ে বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাবেন। প্রচুর পানি, শাকসবজি ও ফলমুল বেশি করে খাবেন।