■ ইহেলথ২৪ ডটকম ডটবিডি ডেস্ক
প্রতি বছর বিশ্বে সাড়ে ৪ হাজার কোটি পাউন্ডের ভেজাল ওষুধ বিক্রি হয়। এর অধিকাংশই তৈরি হয় এশিয়ায়। ধারণা করা হচ্ছে, ভেজাল ওষুধ প্রস্তুতকারী দেশগুলোর অন্যতম হচ্ছে চীন। ভেজাল ওষুধের ৯০ ভাগই বিক্রি হয় অনলাইনে ব্রিটেনে। ক্যান্সার, হƒদরোগ, মেদ, ডায়াবেটিস ও চুল পড়ার মতো অসুখ নিরাময়ে এসব ওষুধ প্রচুর বিক্রি হয়। স্ট্রোকের মতো অসুখের চিকিৎসায় এসব ওষুধের রমরমা ব্যবসা চলছে বিশ্বজুড়ে। প্রকৃত ওষুধের অবিকল প্যাকেটে ভেজাল ওষুধ তৈরি হচ্ছে। দেখে চেনার উপায় নেই কোনটা আসল আর কোনটা নকল।
ইঁদুর মারার বিষ, বরিক এসিডের মতো ক্ষতিকর উপাদানও এসব ওষুধে মেশানো হচ্ছে। ভেজাল কাশির ওষুধ খেয়ে ১৯৯৮ সালে ভারতে ৩৩টি শিশুর মৃত্যু ঘটে।গত ৫ বছরে বিশ্বে ভেজাল ওষুধ বিক্রি দ্বিগুণ বেড়েছে। আর এসব ভেজাল ওষুধ খেয়ে মানুষ মরছে গিনিপিগের মতো। ব্রিটেনে ক্যান্সার নিরাময়ের নামে ভেজাল ওষুধ বাজারজাত করে কোটি কোটি পাউন্ড হাতিয়ে নেয়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ফাঁস হয়েছে। পিটার গিলেস্পি (৬৫) নামের এক ব্রিটিশ অসাধু ব্যবসায়ী চীনের তৈরি ভেজাল ওষুধ আমদানি ও প্যাকেটজাত করে ক্যান্সার, হƒদরোগ ও মানসিক রোগের অবিকল নকল ওষুধ তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে বাজারজাত করে আসছিল। সে এগুলো ফার্মেসি, হাসপাতাল ও বিভিন্ন কেয়ার হোমে সরবরাহ করছিল। এ যাবত প্রায় ১ লাখ ওষুধ বিভিন্ন রোগীকে দেয়া হয়েছে। গিলেস্পি ২০০৬ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৭ সালের মে মাস পর্যন্ত ৭২ হাজার প্যাক ভেজাল ওষুধ আমদানি করে। ইতিমধ্যে ২৫ হাজারের বেশি মারাত্মক অসুস্থ রোগীকে এই ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। এদের বেশীরভাগ প্রস্টেট ক্যান্সারের রোগী। শীর্ষ নিউজ