ক্যাপসিউল” শব্দটি শোনা মাত্রই একটি লম্বাটে গোলাকার(টিউব) আকৃতির ছোটখাটো একটি বস্তু আমাদের মনে ভেসে ওঠে। এই ক্যাপসিউল প্রযুক্তির খুটিনটি কিছু কথা আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়। প্রথমেই আসা যাক এই ক্যাপসিউল শব্দটি কোথা থেকে এলো সে বিষয়ে। আসলে এর উৎপত্তি হয়েছে একটি ল্যাটিন শব্দ “ক্যাপসিউলা” থেকে, যার অর্থ ছোট বাক্স। আধুনিক যুগে এ শব্দটির নানামূখী ব্যবহার থাকলেও ফার্মেসি জগতে এ শব্দটির মাধ্যমে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ডোজেজ ফরমকে বোঝানো হয়ে থাকে। যদি এটাকে সংজ্ঞায়িত করতে চাই তবে বলতে হবে যে, এটি একটি আদর্শ মোড়ক যা কি-না জিলাটিন নামক পদার্থ দিয়ে তৈরী এবং এটি নির্দিষ্ট পরিমানের ঔষধ দিয়ে পূর্ণ করা থাকে। যা একক ডোজ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ক্যাপসিউল তৈরির ইতিহাস
অষ্টাদশ শতকের প্রথম পর্যায়ে এই ক্যাপসিউলের প্রথম আবির্ভব ঘটে। মূলত: ঔষধের আপত্তিকর গন্ধকে ঢাকার জন্যই এর সৃষ্টি হয়ে ছিল। ফ্রান্সের জনৈক ফার্মেসি বিভাগের এক ছাত্র ‘মথিস’ সর্বপ্রথম এই ক্যাপসিউল তৈরি করেন। তিনি প্রথম জিলাটিনের একটি পকেট তৈরি করে এর মধ্যে ঔষধ দিয়ে জিলাটিনের দ্রবণ দিয়েই পকেটের মুখটিকে বন্ধ করে দিয়ে ক্যাপসিউল তৈরি করতেন। মারকারি পূর্ণ একটি চামড়ার ব্যাগ প্রথমে জিলাটিনের দ্রবনে ডুবিয়ে রেখে তা থেকে উপরে তুললে কিছু সময় পর দেখা যায় সেই ব্যাগটির চারদিকে জিলাটিনের একটি শক্ত আবরনের সৃষ্টি হয়েছে। তারপর মারকারি পূর্ণ ব্যগটিকে সেই আবরণী থেকে আলাদা করা হতো। পরে সেই পকেটরুপী আবরনীকে বাতাসে শুকানো হতো। এভাবেই তৈরি হতো তৎকালীন ক্যাপসিউলের মোড়ক। এই পদ্ধতিতে ১৮৩৪ সালে প্যারিসে প্রথম ক্যাপসিউলের মোড়ক তৈরির পদক্ষেপ নেওয়া হয়। মথিস একজন রেজিস্ট্রার্ড ফার্মসিস্ট ডুবনেস্ এর সহায়তায় এ কাজটি সম্পন্ন করেন। এরপরই ক্যাপসিউল সবার কাছে হয়ে উঠে সুপরিচিত। এরপরবর্তী দু’ বছরের মধ্যে বার্লিন এবং নিউইউর্কেও এর প্রস্তুতিকার্য শুরু হয়। তখন মথিস হয়ে ওঠেন একজন সফল ক্যাপসিউল ব্যবসায়ী। ১৮৩৬ সালে তিনি নিজ প্রচেষ্টায় এই ক্যাপসিউলের প্রস্তুত প্রণালীতে উন্নতি সাধনের চেষ্টায় লিপ্ত হন। এই উপলক্ষ্যে তিনি নানামূখী পদক্ষেপ নেন। ফলস্বরুপ তিনি তৈরি করেন হার্ড ক্যাপসিউল এবং সফট ক্যাপসিউল। তখন হার্ড ক্যাপসিউল ‘হার্ড টু পিস ক্যাপসিউল’ এবং সফট ক্যাপসিউল ‘জিলাটিন কোটেড পিল’ নামে পরিচিত ছিল। ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত জিলাটিন কোটেড পিলই সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। পরবর্তী পর্যায়ে ধীরে ধীরে ক্যাপসিউলের প্রস্তুত প্রণালীতে আরও নতুনত্ব আসলেও ক্যাপসিউলের ধরণ আলোচিত দুই প্রকারেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। সত্যিকার অর্থে এখন পর্যন্ত ক্যাপসিউল তৈরীতে শুধুমাত্র এর তৈরির পদ্ধতিগত সহজলভ্যতা সাধনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ক্যাপসিউলের প্রকার
ক্যাপসিউল সাধারনত: দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হলো ‘হার্ড ক্যাপসিউল’ এবং অন্যটি হলো ‘সফট ক্যাপসিউল’। আমরা সচরাচর যে ক্যাপসিউল গুলো দেখে থাকি এর মধ্যে হার্ড ক্যাপসিউলের আধিক্যই বেশি।
হার্ড ক্যাপসিউল
বাজারে দুটি রঙের সমন্বেয়ে(খুব কম ক্ষেত্রেই এক রঙের হয়) তৈরি যে ক্যাপসিউল গুলো দেখা যায় সেগুলো আসলে হার্ড ক্যাপসিউল। এই জাতীয় ক্যাপসিউলের দুটি অংশ থাকে একটিকে বলে ‘ক্যাপ’ এবং অন্য অংশটিকে বলা হয় ‘বডি’। এই দুটি অংশই একটি অন্যটির মধ্যে সংযুক্ত অবস্থায় থাকে। দৈর্ঘ্যরে দিক দিয়ে ক্যাপ নামক অংশটি বডি অংশের চেয়ে ছোট আকৃতির হয়ে থাকে। সাধারণত: বডির উপরের অংশটিই ক্যাপের ভিতরে অস্থায়ীভাবে সংযুক্ত থাকে। তাই খুব সহজেই এই অংশ দুটিকে আলাদা করা সম্ভব। ক্যাপসিউলের মোড়ক খুলে এর ভিতরের ঔষধগুলোকে বাইরে বের করে আনার অভিজ্ঞতা আমাদের সবারই কমবেশি রয়েছে। এই ধরণের খুব কম ক্যাপসিউলই আছে যাদের কে ঔষধ দিয়ে পূর্ণ করার পর স্থায়ীভাবে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। এ জাতীয় ক্যাপসিউলে সাধারণত পাউডার ফর্মে ঔষধগুলো থাকে।
সফট ক্যাপসিউল
বাজারে খুব নরম ইলাস্টিক জাতীয় মোড়ক দ্বারা আবৃত কিছু ক্যাপসিউল পাওয়া যায়। আসলে এগুলোই আলোচিত সফট ক্যাপসিউল। এ জাতীয় ক্যাপসিউল সাধারণত: তরল ঔষধ দিয়ে পূর্ণ থাকে। এ ধরণের ক্যাপসিউলের উদাহরণ হিসাবে বলা চলে যে,বাজারে প্রচলিত ই-ক্যাপ,ভিটামিন এ ক্যাপসিউল ইত্যাদি। হার্ড ক্যাপসিউলের মতো এ জাতীয় ক্যাপসিউলের মোড়ক দুটি অংশে বিভক্ত থাকেনা। বরং একটি অখণ্ড অংশদিয়েই এ ক্যাপসিউলের মোড়ক গঠিত হয়ে থাকে।
ক্যাপসিউলের মোড়ক
ক্যাপসিউলের মোড়ক সাধারণত: ক্যাপসিউল শেল নামে পরিচিত। ক্যাপসিউলের মোড়ক জিলাটিন নামক পদার্থ দিয়ে তৈরি বলে ক্যাপসিউলের মোড়ক কে জিলাটিন ক্যাপসিউল বা জিলাটিন শেল নামেও আখ্যায়িত করা হয়। তবে জিলাটিন ছাড়াও ক্যাপসিউল শেলে আরো কিছু পদার্থ অল্প পরিমানে থাকে সেগুলো হলো প্লাস্টিসাইজার(গ্লিসারল সরবিটল বা প্রোপাইলিন গ্লাইকল), প্রিজারভেটিভ (পটাশিয়াম সরবিটেট,ইথাইল এবং প্রোপাইল পেরাবেন),রং, অপাসিফায়ার, ফ্লেভার এবং পানি। হার্ড ক্যাপসিউলের শেল এবং সফট ক্যাপসিউল শেলের মধ্যে একটিই পার্থক্য। আর তা হলো সফট ক্যাপসিউলের শেলে প্লাস্টিসাইজারের পরিমান তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। ফলে সফট ক্যাপসিউলের শেল বেশ নরম হয়ে থাকে। ক্যাপসিউল শেলের আকার গুলোকে সাধারণত: ০০০,০০,০,১,২,৩,৪,৫ এ নম্বরগুলো দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। মজার ব্যাপার হলো “০০০” দিয়ে সবচেয়ে বড় আকারের ক্যাসিউল শেলকে বোঝানো হয়ে থাকে এবং ক্রমান্বয়ে সবচেয়ে ছোট আকারের ক্যাপসিউল শেলকে ‘৫’ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। অর্থাৎ এ পদ্বতিটি প্রচলিত গণনার পুরোপুরি বিপরীত।
জিলাটিন
ক্যাপসিউল শেল তৈরির মূল উপাদান জিলাটিন। এবার জানা যাক জিলাটিন নামক পদার্থটি আসলে কি ? সত্যিকার অর্থে জিলাটিন নামক পদার্থটি আর কিছুই নয়,এটি এক ধরণের প্রাণীজ প্রোটিন মাত্র। প্রাণীদেহের হাড়ে এবং চামড়ায় অবস্থিত প্রোটিন থেকেই জিলাটিন তৈরি হয়ে থাকে।
ক্যাপসিউল তৈরির প্রস্তুত প্রণালী
ক্যাপসিউল ফর্মে সাধারণত: ঐ ড্রাগগুলোকে দেওয়া হয় যেগুলো কে ট্যাবলেট ফর্মে দেওয়া যায় না। এ ধরণের ড্রাগগুলো সাধারণত: চাপের ফলে সংকোচিত হতে চায় না এবং চাপের ফলে ট্যাবলেট যন্ত্রে সৃষ্ট তাপে গলে যায়। হার্ড ক্যাপসিউল এবং সফট ক্যাপসিউল তৈরির ধাপগুলো একই রকম হলেও প্রক্রিয়াগত দিক থেকে এদের প্রস্তুত প্রণালীতে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। প্রথমে আসা যাক হার্ড ক্যাপসিউল বিষয়ে।
হার্ড ক্যাপসিউলের প্রস্তুত প্রণালী
এ জাতীয় ক্যাপসিউল তৈরিতে বাংলাদেশ সাধারণত: বিদেশ থেকে আমদানীকৃত ক্যাপসিউল শেল ব্যবহার করে থাকে। তাই ক্যাপসিউলের ভ্যাকুয়াম শেল বা খালি মোড়কটি শুধুমাত্র ঔষধ দিয়ে পূর্ণ করেই অত্যন্ত সহজভাবে তৈরি করা যায় হার্ড ক্যাপসিউল নামক ডোজেজ ফর্মটি। এ ক্ষেত্রে ক্যাপসিউল শেল তৈরির ঝামেলা থাকে না। যা কিনা সফট ক্যাপসিউলের বেলায় থাকে। এবার হার্ড ক্যাপসিউল তৈরির ধাপ গুলো পর্যায় ক্রমে জানা যাক।
ব্লেন্ডিং : এই পর্যায়ে ড্রাগ বা মূল উপাদানের সাথে এক্সিপিয়েন্টগুলো মিশিয়ে ব্লেন্ডার মেশিনে ব্লেন্ড করা হয়ে থাকে।
ফিলিং : এই পর্যায়ে ক্যাপসিউল শেলের দুটি অংশ ক্যাপসিউল তৈরির যন্ত্রে প্রথমে আলাদা হয়ে যায়। আসলে যন্ত্রটি এমন ভাবেই তৈরি যে, ক্যাপসিউল শেলের বডির অংশটি যন্ত্রের নিচের দিকে এবং ক্যাপের অংশটি যন্ত্রের উপরের দিকে সংযুক্ত হয়ে যায়। এরপর বডির অংশে পাউডার ঔষধগুলো নির্দিষ্ট পরিমাণে ভর্তি করা হয়। খুব সামান্য চাপ দিয়ে সেই পাউডারগুলোকে লেভেল করা হয়।
সিলিং : ক্যাপসিউল তৈরির এটিই সর্বশেষ ধাপ। এ ধাপে ক্যাপসিউল শেলের অংশদু’টি অস্থায়ী ভাবে সংযুক্ত হয়ে থাকে।
এবার আসা যাক সফট ক্যাপসিউলের প্রস্তুত প্রণালীর দিকে। এর প্রস্তুত প্রণালী হার্ড ক্যাপসিউলের মতো হলেও একটু ভিন্নতা রয়েছে । চলুন জানা যাক এর প্রস্তুত প্রণালী।
সফট ক্যাপসিউল তৈরির প্রস্তুত প্রণালী
সফট ক্যাপসিউলের ভেতরে সাধারণত: তরল জাতীয় ঔষধ থাকে। এ জাতীয় ক্যাপসিউলের শেল তৈরির কাজ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত সব ধাপগুলো একটি সেশনেই সম্পন্ন হয়ে থাকে। অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে প্রথমে ক্যাপসিউল শেল তৈরি করতে হয় এবং তারপর এই শেলগুলোতে ঔষধ পূর্ণ করা হয়। যা ক্যাপসিউলের ফিলিং পর্যায়। সর্বশেষ পর্যায়ে সিলিং পর্বটিও সম্পন্ন করা হয় সফট ক্যাপসিউলের। তবে এখানে হার্ড ক্যাপসিউল এবং সফট ক্যাপসিউল সিলিং এর মধ্যেও আরো একটি পার্থক্য থাকে। আর তা হলো সফট ক্যাপসিউল পুরোপুরি স্থায়ী ভাবে সিলিং করা হয় । কিন্তু আমরা আগেই জেনেছি যে, হার্ড ক্যাপসিউল সিলিং করা হয় অস্থায়ী ভাবে।
ক্যাপসিউলের কার্যপদ্ধতি
ট্যাবলেট এবং ক্যাপসিউলের কার্যপদ্ধতি প্রায় একই রকমের। তবে ক্যাপসিউলের কার্যপদ্ধতি ট্যাবলেটের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে। এর কারণ হিসাবে বলা চলে যে, ক্যাপসিউলে ঔষধগুলো পাউডার ফর্মেই থাকে। কিন্তু ট্যাবলেটের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, এটাকে শরীরের অভ্যন্তরে গিয়ে প্রথমে ভেঙ্গে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হতে হয়। এই টুকরো হওয়ার পদ্ধতিকে “ডিজ-ইন্টিগ্রেশন” বলা হয়। ক্যাপসিউল এর ক্ষেত্রে এই পর্যায়টি হয় ক্যাপসিউল শেলের ক্ষেত্রে। অর্থাৎ ক্যাপসিউলটি পাকস্থলীতে পৌঁছার পর পাকস্থলীর জুসে ক্যাপসিউল শেলটিই প্রথমে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয় এবং শরীরের তাপমাত্রায় মাত্র এক মিনিটের মধ্যে গলে যায়। পরবর্তীতে পাউডারগুলো পাকস্থলীর জুসে দ্রবীভূত হতে শুরু করে। এই পর্যায়ের নাম ‘ডিজলিউশন’। সবশেষে পাকস্থলীর সেমিপারমিএবল মেমব্রেনে এবজর্ব হয়ে তা রক্ত প্রবাহিকায় অংশ নেয়। এবং পরবর্তীতে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে ঔষধগুলো তার কাংখিত কার্যকরী স্থানে গিয়ে পৌছে। ক্যাপসিউল শেলের জিলাটিন নামক পদার্থটি পাকস্থলীর জুসে দ্রবীভূত হতে যে সময়টুকু লাগে তার চেয়েও আগে ঔষধগুলো রক্ত প্রবাহিকায় পৌঁছে যায়। আর তাই ক্যাপসিউল ট্যাবলেটের চেয়ে অনেক দ্রুত এর কার্যপদ্ধতি স¤পন্ন করে থাকে। আবার হার্ড ক্যাপসিউল এবং সফট ক্যাপসিউল এ দু’য়ের মধ্যে সফট ক্যাপসিউলই দ্রুত কার্য সম্পন্ন করে থাকে। কেননা হার্ড ক্যাপসিউলের চেয়ে সফট ক্যাপসিউল আরো এক ধাপ এগিয়ে। সফট ক্যাপসিউলে ঔষধ তরল অবস্থায় থাকায় পাকস্থলীতে যাওয়ার পর ক্যাপসিউল শেলটি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হওয়ার সাথে সাথেই ঔষধ পাকস্থলীর সেমি পারমিএবল মেমব্রেনে এবজর্ব হয়ে রক্ত প্রবাহিকায় অংশ নেয়। পরবর্তী পদ্ধতি একই। এটা থেকেই বোঝা যায় যে, সফট ক্যাপসিউলের কার্যপদ্ধতি সম্পন্ন করতে সবচেয়ে কম সময় লাগে।
ক্যাপসিউল ব্যবহারে কেন সতর্কতা অবলম্বন করবেন?
ট্যাবলেটের তুলনায় ক্যাপসিউল অধিক দ্রুত কার্যকরী হলেও এটা ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। সত্যিকার অর্থে খুব গুরুত্বপূর্ণ ড্রাগগুলোকে সাধারণত: এই ফর্মে দেওয়া হয়। যেমন বেশিরভাগ এন্টিবায়োটিক গুলো ক্যাপসিউল ফর্মেই তৈরি করা হয়। এই এন্টিবায়োটিকের কোর্স সময়মত সম্পন্ন না করলে দেখা যায় যে,এক সময় ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিক পরবর্তীতে আর কাজ করছে না। তাই ক্যাপসিউল ব্যবহারের প্রথম থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ। সর্বোপরি একটা কথা সবক্ষেত্রে প্রযোজ্য যে, যে কোনো ঔষধই চিকিৎসকের পরামর্শে এবং নিয়মমাফিক উপায়ে ব্যবহার করা উচিৎ। কেননা সুস্থ থাকার জন্য এর ব্যাতিক্রম করাটা হবে অনিয়ম তান্ত্রিক চিকিৎসা। যা স্বাস্থ্যের জন্য বিরাট ঝুঁকি স্বরূপ। আর তাই এসকল বিষয়গুলো আমাদের মেনে চলা একান্ত দ্বায়িত্বও বটে। সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকুন এই শুভ কামনায় শেষ করছি। সবাইকে ধন্যবাদ।