বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবজনিত রাতকানা রোগের হার শতকরা ১ ভাগের নিচে রয়েছে। সেটা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন। আগামী শনিবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এ দিন ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
‘আশা করি ক্যাপসুলের মানের কোনো সমস্যা হবে না। এবার ক্যাপসুল একাধিকবার ল্যাব টেস্ট করা হয়েছে। আমাদের মানের কোনো সমস্যা নেই। বিদেশ থেকে কিছু ক্যাপসুল আসছে। দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে এগুলো তৈরি করেছে,’ যোগ করেন মন্ত্রী। তিনি জানান, ১৯৭৪ সালে যখন এ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয় তখন ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মাঝে রাতকানা রোগের হার ছিল ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর ফলে শিশু যে শুধু রাতকানা থেকে রক্ষা পায়, তা নয়। এ ভিটামিন শিশুদের আরও বহুবিধ উপকার করে। শিশুর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে, দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে ও শিশুমৃত্যুর হার কমায়।