আমলকীর মতোই তবে আকারে একটু ছোট ও হলুদ-সবুজ রঙের একটি ফল। স্বাদটা অনেকটা কামরাঙ্গা বা বিলম্বির মতো। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর অনেক প্রকার নাম রয়েছে। যেমন- নলতা, লেবইর, ফরফরি, নইল, নোয়েল, রয়েল, আলবরই, অরবরি, অড়বড়ই ইত্যাদি নাম।
তবে অড়বড়ইয়ের পাশাপাশি রয়েল নামটাই বেশি প্রচলিত। অড়বড়ই দিয়ে আঁচার, জুস, জেলি, চাটনি ইত্যাদিও তৈরি করা হয়। অনেকে এটা দিয়ে টক রান্না করেন বা ভর্তা তৈরি করেন। অড়বড়ইয়ের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। সেইসঙ্গে ওষুধিগুণেও ভরপুর এই ছোট ফলটি।
অড়বড়ইয়ের ওষুধিগুণ সম্পর্কে জেনে নিন:
> কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য অড়বড়ই বেশ কার্যকরী এক দাওয়াই। এজন্য ৩ থেকে ৪ চামচ অড়বড়ইয়ের বীজ গুঁড়া করে নিন। এরপর হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে এক চামচ মধু দিয়ে পান করুন। দিনে অন্তত দু’বার এই পানীয়টি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি মিলবে। এছাড়াও অড়বড়ই গাছের সতেজ পাতা ধুয়ে পাঁচ মিনিট পানিতে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে পান করলেও এ সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
> অ্যাজমায় আক্রান্তদের স্বস্তি মিলবে অড়বড়ইয়ের বীজে। এজন্য ৬টি বীজ ও একটি পেঁয়াজ কেটে পানিতে ফুটিয়ে নিন। এরপর ঠাণ্ডা করে সামান্য মধু মিশিয়ে খেলেই মিলবে উপকার।
> ওজন কমাতেও অড়বড়ই বেশ কার্যকরী এক ফল। এজন্য অবশ্যই অড়বড়ই গাছের কচি পাতা পানিতে ফুটিয়ে হালকা গরম অবস্থায় পান করুন। সকালে খালি পেটে ও রাতে ঘুমানোর পূর্বে নিয়মিত এটি পান করলে ওজন কমতে বাধ্য!
> লিভারের সমস্যায় অড়বড়ইয়ের বীজ খুব উপকারী। লিভারে জমে থাকা ফ্যাট গলাতে পারে এই ফলটি। নিয়মিত অড়বড়ইয়ের জুস খেলে এ সমস্যার সমাধান হবে।
> জ্বর প্রতিরোধে ও মুখের রুচি ফিরিয়ে আনতে অড়বড়ই অত্যন্ত সহায়ক।
> অকাল বার্ধক্য রোধে ও ত্বকের রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত অড়বড়ই খেতে পারেন।
> অড়বড়ইয়ের রস চুলের গোড়ায় লাগালে চুল মজবুত হয় ও খুশকিমুক্ত হয়।
> অড়বড়ইয়ের বীজ পেটের সমস্যায় ও কৃমিনাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
> অড়বড়ইয়ের পাতার নির্যাস কফ-কাশি নিরাময়ে সহায়ক।