সুস্থ জীবনযাপন করতে কারডিওভাস্কুলার স্ক্রিনিং করে নিন। ডাক্তারের হৃদস্বাস্থ্য আর হৃদ সম্পর্কিত অসুখের ঝুঁকি পরিমাপ আর যাচাই করার জন্য নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন। যাদের হ্রদঝুঁকি আছে তাদের স্ক্রিনিং করা জরুরি। শরীরে ওজন বেশি, স্থুল, ধূমপায়ী, ক্রনিক স্ট্রেস যাদের, স্বাস্থ্যকর আহার যারা করেন না তাদের এ ঝুঁকি বেশি।
এছাড়া যাদের রক্তে কোলেস্টেরল আর গ্লুকোজ বেশি, যাদের আছে ডায়াবটিস, কিডনির রোগ আছে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নেই। আগে স্ট্রোক হয়েছে, ৬৫ ঊর্ধ্ব ব্যক্তি এবং যাদের পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস রয়েছে এমন ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি থাকে। এছাড়া যারা নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন, ব্যায়াম করেন না তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে। নারীদের চেয়ে পুরুষদের এ বিষয়ে বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
আমেরিকান হার্ট সমিতি বলেছে, ঝুঁকি দুই রকম অপরিবর্তনীয় আর পরিবর্তনীয়। অপরিবর্তনীয় হল বয়স, জেন্ডার আর জেনেটিক্স। পরিবর্তনীয় হল ট্রাই গ্লিসারাইড মান, কোলেস্টেরল আর লিপিডস, রক্ত গ্লুকোজ মান, রক্তচাপ, ওজন আর বিএমআই। এসব পরিবর্তন করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো যেতে পারে।
এছাড়া শরীর চর্চায় পরিবর্তন আনতে হবে। ধূমপান বাদ দিতে হবে, ডায়েট চার্ট মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে এবং স্ট্রেস কমাতে পদক্ষেপ নিতে হবে।
কী কী স্ক্রিনিং টেস্ট?
রক্তচাপ বছরে এক বার
ওজন বা বিএমআই বছরে এক বার
কোলেস্টেরল ৪ বছরে এক বার
রক্তের গ্লুকোজ তিন বছরে এক বার
অন্যান্য ঝুঁকি যাচাই বছরে এক বার