চকলেট। নাম শুনলেই জিভে পানি চলে আসে। ছোটদের তো অবশ্যই বড়দেরও অনেকের ক্ষেত্রে এমনটি ঘটে। শুধু স্বাদের জন্য চকলেট নয়, বিজ্ঞানীদের গবেষণায় ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে চকলেটের বিশেষ কিছু গুণাগুণও। যা শরীরের মেদ ঝরায় ও স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
চকলেটে থাকা উদ্ভিজ্জ ফ্ল্যাভোনয়েড আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের জন্য বিশেষ কার্যকর। ফ্রি র্যাডিক্যালসের মাত্রা যেমন এতে নিয়ন্ত্রিত থাকে, তেমনই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। তাই চকলেট স্থান পেয়েছে ‘সুপারফুড’-এর তালিকায়।
অথচ এই চকলেটেই থাকে প্রচুর চিনি ও ফ্যাট বাড়ানোর মতো নানা উপাদান। আর তার পুষ্টিগুণও খুব একটা থাকে না। তাই ডায়েট থেকে সহজেই বাদ পড়ে চকলেট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ডিপ্রেশন কাটাতে, স্ট্রেস সরাতে আবার এই চকলেটের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তা হলে উপায়?
পুষ্টিবিদদের মতে, চকলেট খেলেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে শরীর। বাড়তি ওজন তো হবেই না, বরং নিয়ম মেনে খেলে স্ট্রেস কমবে! সাধারণ চকলেটের চেয়ে ডার্ক চকলেটই শরীরের জন্য ভাল। তাই চকলেট খাওয়ার আগে দেখে নিন, তা ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কোকোমুক্ত কি না। দিনে তিন-চার টুকরো ডার্ক চকলেটে ক্ষতি তো নেই বরং অনেকটাই লাভ।
কিন্তু কোন দিন যদি একটু বেশি চকলেট খাওয়া হয়ে যায় বা মুস-কেকে ভেসে যেতে ইচ্ছে করে তাহলে?পুষ্টিবিদরা জানালেন তারপরেও সুস্থ থাকার উপায় রয়েছে।
এবার তা জেনে নিন….
* দিনে ৪০-৫০ গ্রামের বেশি চকলেট না খাওয়াই ভাল। ১৫০-২০০ ক্যালোরির বেশি এই খাবার থেকে শরীরে প্রবেশ করতে দেবেন না। তবে যদি একান্তই একটু বেশি খেয়ে ফেলেন, তাহলে পরের দিন শরীরচর্চার জন্য অন্যদিনের চেয়ে আধ ঘণ্টা বেশি সময় দিন।
* সাঁতার কাটুন অতিরিক্ত ১৫ মিনিট।
* সাইকেল চালানোর অভ্যাস থাকলে সে দিন অন্যদিনের তুলনায় ২০ মিনিট বেশি সাইকেল চালান বা হাঁটুন।
* অনেকটা চকলেট খেয়ে ফেলার পরের দিনের ডায়েট থেকে বাদ দিন ফ্যাটজাতীয় সব খাবার। সে দিনের ডায়েটে রাখুন স্যালাড ও প্রোটিন।
* সময় মতো খান ও সময় মতো ঘুমান। বেশি খাওয়া-দাওয়া হলে এই নিয়ম মানতেই হবে।