॥ ই-হেলথ২৪ ডেস্ক ॥ বিশ্বজুড়ে শিশু-কিশোরদের লেখাপড়ায় অমনোযোগিতা কিংবা সহিংসতা ও অপরাধপ্রবণ হওয়ার জন্য প্রায়ই ভিডিও গেমসকে দায়ী করা হয়। কিন্তু এর উপকারিতার দিকটি খুব অনুচ্চারিতই থেকে যায়।
শুনতে অবাক লাগলেও এক তথ্যে জানা যায়, ভিডিও গেমস মরণব্যাধি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও সহায়তা করতে পারে, বিশেষ করে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু-কিশোরদের। এমন একটি ভিডিও গেমস সম্প্রতি ভারতে তৈরি করা হয়েছে। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইকে রীতিমতো শিশুদের জন্য খেলার বিষয়ে পরিণত করতে পেরেছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা।
সংশ্লিষ্ট টিউমার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিগগির তাঁরা ভিডিও গেমসটি ক্যান্সার আক্রান্ত কিশোর-কিশোরীদের হাতে তুলে দেবেন। গেমসটি তাদের বিধিবদ্ধ চিকিৎসার অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠবে।
ক্যান্সার রোগী, বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীরা যখন ভিডিও গেমসটি খেলবে, তখন তারা এর মাধ্যমে সব ধরনের ব্যাক্টেরিয়াজনিত ইনফেকশন এবং বিভিন্ন ধরনের থেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারবে।
গত কয়েক বছর ক্যান্সার রোগীদের নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এনজিও ‘হোপওয়েল ফাউন্ডেশন’ ভিডিও গেমসটি উদ্ভাবন করেছে। কারটিভিয়া হেলথিওন নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে তারা ভিডিও গেমসটির বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে।
কারটিভিয়ার প্রতিষ্ঠাতা অনিল নায়াক জানিয়েছেন, যেসব রোগী তাদের প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত, তাদের সবাইকে বিনা মূল্যে গেমসটি সরবরাহ করা হবে। গেমসটি নাম দেওয়া হয়েছে ‘রি-মিশন’। গেমসটিতে খেলোয়াড়ের ভূমিকা হবে ‘রঙ্’ নামে ‘ন্যানোরোবটিক’ পাইলট হিসেবে। তিনি কাল্পনিক একজন ক্যান্সার রোগীর শরীরজুড়ে বিচরণ করতে থাকবেন এবং শরীরে যেখানে ক্যান্সার কোষ পাবেন, সেখানেই তাকে ধ্বংস করবেন। এর মাধ্যমে তিনি ব্যাক্টেরিয়াজনিত ঘা এবং ওষুধ ও থেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও সামাল দেবেন।
গেমসটিতে ১৯ ধরনের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাল্পনিক লড়াই রয়েছে। এর মধ্যে রক্ত, মস্তিষ্ক ও হাড়ের ক্যান্সারও রয়েছে। এই গেমসটি খেলার মধ্যদিয়ে বাস্তব জগতেও রোগটির বিরুদ্ধে লড়াই করতে শারীরিক ও মানসিক শক্তি অর্জন করতে পারবে রোগী।
আর গেমসটি উদ্ভাবক এনজিওটির লক্ষ্যও তাই। এর মধ্যদিয়ে এনজিওটি এটাই প্রদর্শন করতে চাচ্ছে, দীর্ঘস্থায়ী রোগে (ক্রণিক ইলনেস) ভোগা কিশোর-কিশোরীদের আচরণগত পরিবর্তনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে ভিডিও গেমস।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন