॥ ই-হেলথ২৪ রিপোর্ট ॥ প্রচন্ড গরমে রাজধানীসহ সারাদেশের মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে। গরমের কারণে শিশুসহ সববয়সীদের মধ্যে জ্বর, সর্দি, টাইফয়েডসহ বেশ কিছু রোগের প্রকোপ বেড়েছে। চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বার ও বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা যায়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন, গরমে ঘাম বেশি হয়। এতে শরীরে পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন) দেখা দেয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান মো. আবিদ হোসেন মোল্লা বলেন, জ্বর, সর্দি, টাইফয়েড ও ডায়রিয়া নিয়েই বেশি রোগী আসছে। একই সঙ্গে জন্ডিসের রোগীও আসছে। এ ছাড়া ছেলেমেয়েদের ঘামাচির সমস্যা নিয়েও মা-বাবারা আসছেন। এ সময় শিশুরা পানি বা যেকোনো ধরনের পানীয় বেশি খায়। কিন্তু সব পানি বা পানীয় নিরাপদ নয়। অনিরাপদ পানি বা পানীয় ডায়রিয়া, আমাশয় ও টাইফয়েডের প্রধান উৎস।’
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবির) কলেরা হাসপাতালে ২৫ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয় যথাক্রমে ৫১৬, ৪৯৪ ও ৩৮৩ জন। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, বৃষ্টি না হলে ডায়রিয়ার রোগী আরও বাড়তে পারে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, এ সময় বয়স্ক ও শিশুদের দিকে নজর রাখতে হবে। নিয়মিত প্রস্রাব হচ্ছে কি না, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। ঠান্ডা পানিতে কাপড় ভিজিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে, ভালোমতো স্নান করাতে হবে। এতে ঘামাচি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এ সময় সবাইকে বেশি পানি পান করতে হবে, তবে নিশ্চিত হতে হবে যে সে পানি নিরাপদ। আর জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, যাঁরা রাস্তায় বেশি থাকেন বা রোদে কাজ করেন, তাঁদের ছাতা বা মাথার ওপর কাপড় ব্যবহার করতে হবে। সবারই গরমে ঢিলেঢালা জামাকাপড় পরা উচিত। এ গরমে অনেকে হঠাৎ জ্ঞান হারাতে পারেন। মূলত শরীর থেকে প্রচুর পানি ও লবণ বের হওয়ার কারণে এটা হয়। এ পরিস্থিতিতে অজ্ঞান ব্যক্তিকে ছায়ায় নিতে হবে এবং হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকই বলেছেন, রাস্তার শরবত ও কাটা ফল নিরাপদ নয়। গরমে সহজে খাবার নষ্ট হয়, তাই বাসি খাবারের ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে বলেছেন তাঁরা।