॥ ই-হেলথ২৪ ডেস্ক ॥ এক গবেষনায় দেখা গেছে, জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং আনন্দময় জীবন হার্টকে সুস্থ-সবল রাখে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, স্ট্রোক এবং করোনারি (হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহকারী ধমনী) সংক্রান্ত রোগে আশাবাদী মানুষের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ কম। হতাশা, ক্রোধ, উদ্বেগ, বৈরিতা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। দীর্ঘদিন ধরে মানুষের আচরণের সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্কের ওপর গবেষণা পরিচালিত হয় হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথে।
এ বিষয়ে মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের ওপর প্রাধান্য দেওয়া হয়। এই দীর্ঘমেয়াদি গবেষণায় অংশগ্রহণকারী বিজ্ঞানীরা ঐকমত্যে পৌঁছান যে, সুস্থ-সবল হার্টের জন্য হাসিখুশি এবং উদ্বেগহীন জীবনযাপন করা জরুরি।
মানসিক অবসাদ, হতাশা, ক্রোধ হার্টকে অসুস্থ করে তোলে। ফলে হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী বিজ্ঞানীরা বলছেন, শুধু ইতিবাচক ও নেতিবাচক বিষয় নয়, সন্তুষ্টি, আনন্দময় জীবন, পারিবারিক ও সামাজিক নিরাপত্তাবোধ এগুলোও মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পাশাপাশি ব্যক্তির সুশৃঙ্খল জীবনযাপন, আর্থ-সামাজিক অবস্থান, ধূমপান পরিহার করা এবং দৈহিক ওজন নিয়ন্ত্রণথ এসবও হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাসের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনার দাবি রাখে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুটি ডাটাবেস কেন্দ্রের চিকিৎসক বোহেস এবং জ্যেষ্ঠ গবেষক ও প্রাবন্ধিক লরা কুবজানস্কি ২০০ রোগীর ওপর এ গবেষণা চালান।
গবেষকরা বলেন, পারিবারিক বন্ধন, শিক্ষা বা চাকরি ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করা, আর্থ-সামাজিক শৃঙ্খলা, পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাথ এসব বিষয় হৃদযন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাবিত করে।
এছাড়াও বিজ্ঞানীরা বলছেন, ব্যক্তির আচার-আচরণ, খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করার ওপর ব্যক্তির দৈহিক বা হৃৎপিণ্ডের সুস্থতা নির্ভর করে। তাদের পরামর্শ, মূল্যবান হৃদযন্ত্রের দীর্ঘায়ু ও তাকে কর্মক্ষম রাখতে হাসিখুশি থাকুন, পরিকল্পনামতো দৈনন্দিন কাজ ও জীবনযাপন করুন।