মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল
বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্রাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমপিএ) মহাসচিব ডা. জামালউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বেসরকারি পর্যায়ে হাসপাতাল, ক্লিনিক বা অন্য প্রতিষ্ঠানের ওপর নিবিড় পর্যবেক্ষণ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। মুক্তবাজার অর্থনীতির দোহাই দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে ইচ্ছামাফিক অর্থ আদায় করা উচিত নয়। তিনি বলেন, নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে খুব শিগরিগই এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের উদ্যোগে বেসরকারি চিকিৎসাসেবা আইন-২০১০ এর খসড়া চূড়ান্তকরণে কমিটি গঠিত হয়েছে।
জাতীয় অধ্যাপক ডা. এমআর খান বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার কিংবা প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি যারা স্থাপন করছেন সেগুলো নিয়ম মেনে পরিচালনা করা তাদের নৈতিকভাবে দায়িত্ব। তারা যথাযথভাবে তা পালন করছেন কিনা তা দেখার দায়িত্ব সরকারের। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে টাকার বিনিময়ে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা দেয়া হয়। সেবা পাওয়া রোগীর অধিকার। তিনি বলেন, দেশের বৃহত্তর জনগণের স্বার্থে সবাই মিলে নীতিমালা বা আইন প্রণয়ন করা উচিত। এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে বলে তিনি জানান। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিকার জাতীয় আন্দোলনের সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশীদ-ই-মাহবুব যুগান্তরকে বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাননিয়ন্ত্রণে সরকারকেই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। চাহিদা রয়েছে বলেই দেশে ক্রমেই বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির সংখ্যা বাড়ছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে ইতিমধ্যেই বেসরকারি চিকিৎসাসেবা আইন-২০১০ এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রণীত খসড়া আইন চূড়ান্ত করতে সম্প্রতি ১৪ সদস্যের একটি কোর কমিটি গঠিত হয়েছে। আন্তরিকতা নিয়ে একটি আইন প্রণয়ন করা গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মের মধ্যে চলবে। তার মতে, বেসরকারি পর্যায়ে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রতি সঠিক মনিটরিং ও সুপারভিশনের মাধ্যমে জনগণের নাগালের মধ্যে মানসš§ত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি থাকলেও অধিকাংশ মানসš§ত নয়। যথাযথ মনিটরিং ও সুপারভিশন না থাকায় এগুলো ইচ্ছামাফিক পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, এর সব দায়-দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদফতরকেই নিতে হবে। এ কাজটি করতে গিয়ে হয়তো মহাপরিচালক চাকরিও হারাতে পারেন। কিন্তু সদিচ্ছা থাকলে মোটামুটি মান বজায় রাখতে বাধ্য করা যেতে পারে। তিনি বলেন, খোদ রাজধানী ঢাকাতেই খুব বেশি মানসম্মত প্রতিষ্ঠান নেই। তিনি নিজ জেলা কুমিল্লার উদাহরণ টেনে বলেন, জেলায় শতাধিক হাসপাতাল, ক্লিনিক থাকলেও হƒদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়ার কোন সুব্যবস্থা নেই। তিনি বলেন, বেসরকারি মেডিকেলের বর্জ্য যত্রতত্র ফেলার কারণে তা জনস্বাস্থ্যের প্রতি মারাÍক হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। রাজধানীর কিছু হাসপাতালে বর্জ্য অপসারণের সুব্যবস্থা থাকলেও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তা নেই বললেই চলে। করতে হবে : বিশিষ্টজনরামান বজায় রাখতে মনিটরিংঅভিযোগ রয়েছে, রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মালিকানার সঙ্গে বিভিন্ন প্রভাবশালী মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক নেতারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। তারাই প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেন। তাদের মধ্যে কেউ সদিচ্ছা নিয়ে ব্যবসা করেন আবার কেউ দ্রুত বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক হতে বাণিজ্যিকভাবে ক্লিনিক চালান।ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের চিত্র : একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে খোদ রাজধানীতেই এ ধরনের বহু প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পাওয়া যায়। ২০০৭ সালের ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক হাসপাতাল ও ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখতে পান অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নেই। নিয়মবহির্ভূতভাবে আবাসিক এলাকার ছোটখাটো ঘুপচি ঘরবাড়িতে গড়ে উঠেছে অনেক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সেখানে আলো-বাতাসের পর্যাপ্ত সুব্যবস্থা নেই। অথচ একেকটির ৫শ’ থেকে ২/৩ হাজার টাকা ভাড়া রাখা হচ্ছে। রোগীর অপারেশন করা হলেও প্রয়োজনীয় অপারেশন থিয়েটার ও লোকবল নেই। সার্বক্ষণিক চিকিৎসক রাখার নিয়ম থাকলেও অনকলে ডাক্তার এনে রোগীর চিকিৎসা করা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, যে কোন প্রতিষ্ঠান সরেজমিন ঘুরে দেখে লাইসেন্স দেয়ার নিয়ম থাকলেও কোথাও গেলে ২/৩ দিন লেগে যায়। ফলে দাফতরিক কাজে বিলম্ব হয়ে যায়। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, শুধু তাদের ঘাড়ে দোষ চাপালেই সমস্যার সমাধান হবে না। পরিকল্পনা মোতাবেক জনবল নিয়োগ ও সর্বোপরি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলের অভাব : জানা গেছে, এসব দেখভালের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে ন্যূনতম জনবল নেই। অভিযোগ, বৈধ ও অবৈধভাবে উভয়ভাবে গজিয়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশতেই প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, প্রশিক্ষিত ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও টেকনিশিয়ান এবং যন্ত্রপাতি নেই। যাচাই-বাছাই ছাড়া এ ধরনের প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ফলে সাধারণ রোগীরা চরমভাবে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। সুচিকিৎসার পরিবর্তে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে গাঁটের পয়সা খরচ করে চিকিৎসা নিতে গিয়ে কিংবা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে গিয়ে নিছক অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে প্রতি বছর প্রায় সহস্রাধিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স প্রদান করা হলেও এগুলো কিভাবে চলছে, কারা চালাচ্ছে, চিকিৎসাসেবার মান কেমন, কি মেশিন, কত টাকা ফি নিয়ে চালানো হচ্ছে তার ন্যূনতম মনিটরিং হচ্ছে না।ডনয়ম-কানুনের বালাই নেই : বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠান ‘কাগুজে নিয়ম-কানুনে’ পরিচালিত হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট নীতিমালা বা আইন না থাকায় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই ফ্রিস্টাইলে চলছে। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফি ও অস্ত্রোপচার বাবদ রোগীদের কায় থেকে ইচ্ছে মাফিক অর্থ আদায় করছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা থেকে লাইসেন্স প্রদান করা হলেও প্রয়োজনীয় জনবলের দোহাই দিয়ে সেগুলো নিয়মিত ও মনিটরিং করা হয় না। তাদের চরম ব্যর্থতার মাশুল গুনতে হচ্ছে হাজার হাজার রোগীকে। অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করছে। সাধারণ রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা থাকলেও পরিত্রাণ নেই। চিকিৎসাসেবা আইন প্রণীত হলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন। অধিকাংশই নামসর্বস্ব : সারাদেশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা শত শত প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরিগুলো নিছক বাণিজ্য কেন্দ । অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই নিয়ম-কানুনের বালাই নেই। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানান, যে কোন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও নার্সিং হোম স্থাপন করতে হলে ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট, ইনকাম ট্যাক্স (টিআইএন) ছাড়পত্র, প্রতিষ্ঠানের শয্যাসংখ্যা অনুসারে প্রকার, বর্গফুট অনুসারে প্রতিষ্ঠানের পরিমাণ, ইনডোর, আউটডোর ও ভৌত সুবিধাদি-জরুরি বিভাগ, ওটি, ওয়াশরুম, লেবার রুম, অপেক্ষাকক্ষ, অফিস কক্ষ, প্রশস্ত সিঁড়ি, জেনারেটর, পোস্ট অপারেটিভ রুম, ইনস্ট্র-মেন্ট রুম, অভ্যর্থনা রুম, স্ট্যাভিলাইজার, চেঞ্জিং রুম, নার্সদের ডিউটি কক্ষ, ভাণ্ডার কক্ষ, অস্ত্রোপচার কক্ষের সুবিধা (শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ, ওটি টেবিল, সাকার মেশিন, জরুরি ওষুধের ট্রে, অক্সিজেন, ওটি লাইট, অ্যানেসথেসিয়া মেশিন, ডায়াথার্মি মেশিন, রানিং ওয়াটার, আইপিএস), যন্ত্রপাতির পূর্ণাঙ্গ তালিকা, সার্বক্ষণিক ডাক্তার-নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের নাম-ঠিকানা, যোগ্যতার সনদপত্র, নিয়োগপত্র, জরুরি অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি ও ওষুধ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও অ্যাম্বুলেন্স থাকা অত্যাবশ্যক। প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি স্থাপনের জন্য একইভাবে নির্ধারিত নিয়মাবলী পালন করা অত্যাবশ্যক।জানা গেছে, মে মাসের মধ্যে কোর কমিটি খসড়া আইন আলোচনা ও পর্যালোচনা করে এর খসড়া চূড়ান্ত করবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিটির একাধিক সদস্য যুগান্তরকে বলেন, বেসরকারি পর্যায়ে পরিচালিত হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরিগুলোর জবাবদিহিতা, মাননিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ক্রয়সীমার মধ্যে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণই হবে বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রণয়নের প্রধান কাজ। এগুলোর মধ্যে ২ হাজার ৭১৮টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক এবং ৪ হাজার ৫৯৮টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি। অবৈধভাবেও চিকিৎসা কেন্দ্রের নামে বিপুলসংখ্যক প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এক দশকে বিপুলসংখ্যক হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্যাথলজিক্যল ল্যাবরেটরি স্থাপিত হলেও এগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণে কার্যকর আইন ও প্রয়োগকারী সংস্থা নেই। তিন দশকের পুরনো ‘দি মেডিকেল প্রাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ রেগুলেশন অর্ডিন্যান্স ১৯৮২’ এর ভিত্তিতে এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। এ অধ্যাদেশ এখন অনেকটাই অকার্যকর। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দেশে বেসরকারি চিকিৎসাসেবা আইন প্রণয়ন করা এখন সময়ের দাবি। জানা গেছে, দেশে বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ লক্ষ্যে গত বছর অধিদফতর প্রণীত বেসরকারি চিকিৎসাসেবা আইন-২০১০ এর খসড়া চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে সম্প্রতি ১৪ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের কোর কমিটি গঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. এএফ সাইফুল ইসলামকে সভাপতি ও পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা) ডা. মমতাজউদ্দিনকে সদস্য সচিব করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেনÑ স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন জাতীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশীদ-ই-মাহবুব, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ভূঁইয়া, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্রাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. জামালউদ্দিন চৌধুরী, বিএমএ সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, বিএমএ যুগ্ম মহাসচিব ডা. এমএ আজিজ, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারস অ্যাসোসিয়েশন সহ-সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্যাথলজি সোসাইটির মহাসচিব ডা. শামীমুল ইসলাম, সোসাইটি অব সার্জন অধ্যাপক জুলফিকার ধার খান, সোসাইটি অব অবস অ্যান্ড গাইনি মহাসচিব অধ্যাপক নাছিমা বেগম, সোসাইটি অব মেডিসিন সভাপতি অধ্যাপক এমএ জলিল চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এম আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের (হাসপাতাল ও ক্লিনিক ট্রেইনিং) শাখার ডিপিএম আমিনুল ইসলাম। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার মো. শিফায়েতউল্লাহ কোর কমিটির উপদেষ্টা।
রাজধানীসহ সারাদেশে বেসরকারি পর্যায়ে স্থাপিত শত শত হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি নিয়ন্ত্রণহীন ও ফ্রিস্টাইলে চলছে। সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য-চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেয়ার নামে গ্রামে-গঞ্জে, হাট-বাজারে এবং শহরের অলিগলি, পাড়া-মহল্লায় ব্যাঙের ছাতার মতো ছোট-বড় অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গজিয়ে উঠছে। এর কোনটি বৈধ আবার কোনটি অবৈধ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের বৈধ লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় সাড়ে সাত হাজার।