মেহেদি ছাড়া ঈদের আনন্দ পূর্ণ হয় না। বিশেষ করে ঈদের আগের রাতে, রাত জেগে মেহেদি দেওয়ার আনন্দই অন্য রকম। এই ঈদে কোন ডিজাইনে মেহেদি দিবেন তা জানাচ্ছেন রূপ বিশেষজ্ঞ তানজিনা শারমিন মিউনী।
আজকাল পাতা মেহেদি বেটে খুব কমই দেওয়া হয়। এতে ডিজাইন করতে অসুবিধা, রং হতেও সময় লাগে। বাজারে বিভিন্ন প্যাকেটজাত টিউব মেহেদি পাওয়া যাচ্ছে, যা দিয়ে নকশা করা যায় সহজে।
কোন হাতে কেমন মানায়
যাদের হাতের পাতা বড়, তারা হাত ভরাট নকশা করলে দেখতে ভালো লাগবে। আর ছোট হাতে খুব বেশি ভরাট না করে এক পাশে লম্বালম্বি ডিজাইন ভালো লাগবে। হাতের আঙুল যদি ছোট হয় তবে অনামিকা ও মধ্যমায় লম্বালম্বি যেকোনো ডিজাইন করুন।
লাল না কালো
লাল রঙের মেহেদির পাশাপাশি কালি মেহেদিও খুব চলছে। টিনএজরা কালো মেহেদি পছন্দ করছে বেশি। তবে কালো মেহেদি দিয়ে পুরো হাতে ডিজাইন করলে ভালো লাগবে না। নরমাল মেহেদি দিয়ে আগে মূল ডিজাইনটা হাতে ফুটিয়ে তারপর ওই ডিজাইনের বিশেষ কিছু অংশ রাঙাতে পারেন কালো মেহেদি দিয়ে। এতে নকশার ভিন্নতা আসবে।
এখন মেহেদির ডিজাইনে কলকা বেশি চললেও ফুল, লতাপাতা_এসব ডিজাইনও চলছে।
নখ ঢেকে দিয়ে কিংবা আঙুলের এক দাগ বাকি রেখে পুরো হাতে মেহেদি লাগাচ্ছেন অনেকে। তবে ঈদে দুই হাত ভরে মেহেদি লাগানোই ভালো।
খেয়াল রাখতে হবে, ডিজাইন যেন খুব চিকন বা ঘন না হয়। কারণ চিকন ডিজাইনে রং গাঢ় হয় না। আর ঘন ডিজাইন হলে হিজিবিজি লাগে। পুরো ডিজাইন স্পষ্ট বোঝা যায় না। দুই হাতের পুরো তালুতে আবার শুধু এক আঙুলেই নকশা করতে পারেন। পুরো হাতেও মেহেদি দেওয়া যায়। এই নকশা আপনি হাতের কব্জি ছাড়িয়ে নিচে আরো কিছু অংশেও করতে পারেন। আবার হাতের তালুতে আড়াআড়ি লতানো ডিজাইন আঁকতে পারেন। আঙুলেও নকশা আঁকা যায়। সনাতন কলকি, ফুল, পাতা, প্রজাপতি বা নকশা ছাড়াও আপনি পাকিস্তানি ভরাট ডিজাইনও করতে পারেন। হাতের দুই পিঠেও মেহেদি পরা যায়। হাত আকর্ষণীয় লাগবে এবং উৎসবের আমেজও থাকবে।
মেহেদি, পলিশ আর গি্লটার
মেহেদির সঙ্গে রং মিলিয়ে নেইলপলিশ লাগান হাত ও পায়ের নখে। নেইলপলিশের রং গাঢ় ও উজ্জ্বল হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে লাল, মেরুন, বারগেন্ডি ও বাদামি রং ভালো।
উৎসবের আমেজ আনতে মেহেদির সঙ্গে গি্লটার ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যবহারবিধি
মেহেদি লাগানোর আগে হাত ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। ময়েশ্চারাইজার বা লোশন জাতীয় কিছু লাগানো যাবে না। টিউবটি খোলার আগে ভালো করে দুই হাতের তালুর মাঝে রেখে নাড়িয়ে নিন। তারপর আলপিনের সাহায্যে টিউবের সরু অংশটি ছিদ্র করে পছন্দমতো ডিজাইনে হাতে লাগান।
দরদাম
পাকিস্তানি কালো মেহেদি ১০০ টাকা। আলমাস মেহেদি ৫০ টাকা। ডিজাইন বইসহ লিজানের একটিভ গোল্ড মেহেদি ৩৬ টাকা। লীজানের নরমাল মেহেদি ও লিজান স্পেশাল চাঁদ রাত মেহেদির দাম ৩৬ টাকা। আরও আছে আলিফ মেহেদি, দাম ৩৫ টাকা। শাহজাদী পাবেন ৩৬ টাকায়। আইভিও পাবেন ৩৬ টাকায়।
বাজারে বিভিন্ন কালারের গি্লটারও পাওয়া যায়। লিজানের গি্লটার পাবেন ৩৮ টাকায়। এ ছাড়া নরমাল গি্লটার আছে ৩০ টাকায়। নখের চারপাশ টুকটুকে লাল করতে বাজারে পাবেন লীজান নেইল কালার। দাম পড়বে ৩৫ টাকা।