Connect with us

স্বাস্থ্য সংবাদ

ডায়াবেটিস : কী খাবেন, কী খাবেন না

আমাদের দেশে একটা প্রচলিত কথা আছে, মানুষ নাকি খেয়ে মরে, না খেয়ে বেশি দিন বাঁচে। তবে বেশি বা কম খাওয়া নয়, বরং পরিমিত খাদ্য গ্রহণই সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি। আপনার বংশের কারও কি ডায়াবেটিস রোগটি আছে? সবসময় কি খুব টেনশন করেন? কিংবা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করছেন? উত্তরগুলো যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে কিছু মনে করবেন না, আপনি কিন্তু […]

Published

on

আমাদের দেশে একটা প্রচলিত কথা আছে, মানুষ নাকি খেয়ে মরে, না খেয়ে বেশি দিন বাঁচে। তবে বেশি বা কম খাওয়া নয়, বরং পরিমিত খাদ্য গ্রহণই সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি।

আপনার বংশের কারও কি ডায়াবেটিস রোগটি আছে? সবসময় কি খুব টেনশন করেন? কিংবা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করছেন? উত্তরগুলো যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে কিছু মনে করবেন না, আপনি কিন্তু ডায়াবেটিসের ঝুঁকির মধ্যে আছেন।

আপনাকে ভয় দেখাতে নয়, বরং সচেতন করতেই এই তথ্যটুকু জানানো। আর যারা এ রোগে ইতিমধ্যেই আক্রান্ত, তারা জেনে নিন কীভাবে, কোন ধরনের, কোন সময়ে, কী কী রকম খাদ্য পরিহার করবেন বা গ্রহণ করবেন।

ডায়েট শব্দটা আমাদের কাছে খুব পরিচিত। এটি বুঝায় কী খেতে হবে আর কী খেতে হবে না।  কিন্তু ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য ডায়েট শব্দটা একটু ভিন্ন। খাদ্যতালিকা নির্ধারণে সহজ কিছু টিপস এই রোগীদের জন্য তো বটেই, সাধারণের জন্যও উপকারী।

Advertisement

কী খাবেন :
*   প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে পানি খেতে হবে।
*   প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্তত তিন ধরনের তাজা সবজির পদ থাকতে হবে।
*   প্রতিদিন একই সময়ে খেতে হবে।
*    কম ফ্যাটযুক্ত দুধ পান করতে হবে।
*    প্রতিদিন কম করে ২০-২৫ গ্রাম কাঁচা পেঁয়াজ খেতে হবে।
*    প্রতিদিন খানিকটা দারুচিনি গলাধঃকরণ করতে হবে।
*   প্রতিদিন পরিমাণমতো তাজা ফল খেতে হবে।
*   মনে রাখতে হবে যতটা সম্ভব হারবাল চা পান করতে হবে, ক্যাফেইন চার পরিবর্তে।

একটু অদ্ভুত লাগছে নাকি খাবারের তালিকাটা? ভাবছেন, কেন পেঁয়াজ খাব? জেনে আশ্চর্য হবেন যে, পেঁয়াজের ভেতরে এমন উপাদান থাকে যা আসলে ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। পেঁয়াজ হজমে এবং ডায়াবেটিসের জন্য মূত্রবর্ধক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। দারুচিনি রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। দারুচিনির কয়েকটি টুকরো কিছু সময় পানিতে গরম করে ‘দারুচিনি চা’ হিসেবে খেলে ডায়াবেটিসের জন্য বেশ উপকারী।  

* খাবেন না বা কম খাবেন :
*  কখনও বেশি পরিমাণে খাওয়া চলবে না।
*  যেসব খাদ্য বা পানীয়ে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে সেসব বর্জন করতে হবে।
*  অতিরিক্ত কাঁচা লবণ নয়।
*  বেশি ভাজা ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।
*  প্রতিদিন দু কাপের বেশি চা বা কফি খাওয়া যাবে না।
*  দুধ খেতে হলে ফ্যাট কমিয়ে খেতে হবে।
*  পনির ফ্যাট ছাড়া খেতে হবে।
*  ভাত, আলু, কলা এবং গাজর রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়ায়। সুতরাং যত কম খাবেন, তত ভালো।

মনে হয় এগুলো মানা খুব কঠিন কিছু নয়। আপনি যদি ডায়াবেটিক তাহলে এগুলো তো অবশ্যই পালনীয়। আর যারা ভালো আছেন তারা যদি এভাবে নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে নিরাপদ থাকতে পারবেন।

 

Advertisement
Continue Reading
Advertisement