করোভাইরাসের টিকার প্রযুক্তি আবিষ্কার করে এবার দুই বিজ্ঞানী চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। নোবেল বিজয়ী দুই বিজ্ঞানীর নাম ক্যাটালিন ক্যারিকো ও ড্রু ওয়েইসম্যান। আজ সোমবার এ পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এমআরএনএ করোনার টিকার প্রযুক্তি করোনাভাইরাসের মহামারি শুরুর আগে পরীক্ষামূলক অবস্থায় ছিল। তবে এ টিকা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের প্রাণ রক্ষা করেছে। এখন ঠিক একই ধরনের এমআরএনএ প্রযুক্তি ক্যানসারসহ অন্য নানা রোগের টিকা আবিষ্কারের গবেষণার কাজে লাগানো হচ্ছে।
নোবেল পুরস্কার কমিটি বলেছে, বর্তমান সময়ে মানবস্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে বড় হুমকির সময় এই দুই পুরস্কার বিজয়ী টিকা তৈরির ক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য রকম অবদান রেখেছেন।
১৯৯০ এর দশকের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনির্ভার্সটি অব পেনসেলভেনিয়ায় একত্রে কাজ করতে শুরু করেন ক্যাথলিন কারিকো এবং ড্রিউ ওয়েইসম্যান। ২০০৫ সালে ‘নিউক্লিওসাইড বেইজড মডিফিকেশন’ গবেষণার ফল প্রকাশ করেন তারা।
বিশ্বে এমআরএনএ প্রযুক্তির প্রথম করোনা টিকা আনে মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান কোম্পানি বায়োটেক। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি দুই কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে আনা টিকা ফাইজার-বায়োএনটেককে অনুমোদন দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এই প্রযুক্তির ২য় টিকা বাজারে আনে মডার্না, যা ওই বছরের ১ মে ডব্লিউএইচও’র ছাড়পত্র পায়। করোনা প্রতিরোধে উভয় টিকার কার্যকারিতা ৯৩ শতাংশের ওপর।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম সার্স-কোভ-২ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। পরে সাধারণভাবে এই ভাইরাসটি পরিচিতি পায় নতুন বা নভেল করোনাভাইরাস নামে। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল উহানেই।
প্রথাগত টিকাগুলো রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার মৃত বা দুর্বল অংশ দিয়ে তৈরি। এর বিপরীত এক ধারায় এমআরএনএ প্রযুক্তিতে টিকা তৈরি হয়। ক্যারিকো ও ওয়েইসম্যান ২০০৫ সালে তাঁদের গবেষণার ফল প্রকাশ করেন। নোবেল কমিটি বলেছে, এভাবেই তাঁরা করোনার টিকার ভিত্তি প্রস্তুত করেছিলেন।