বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) বেসরকারি প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতা প্রদানের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০ হাজার টাকা করে ভাতা প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তবে কবে থেকে এ ভাতা প্রদান করা হবে সেবিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
গত ১১ জুলাই জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদের ‘স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকের কার্যপত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি বিসিপিএসের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া নেতৃত্বে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সাবেক সচিব জি. এম. সালেহ উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এক কোটি টাকা ছাড় করা হয়।
এতে প্রথম বৈঠকের সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের কী প্রক্রিয়ায় সম্মানি প্রদান করা যায়, সে সম্পর্কিত ইতোপূর্বে গঠিত কমিটিতে সদস্য আ. ফ. ম রুহুল হক ও বিএসএমএমইউ উপাচার্যকে অন্তর্ভুক্ত করে তাদের পরামর্শক্রমে একটি প্রতিবেদনসহ প্রস্তাবনা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পেশ করার সুপারিশ করা হয়।
ওই কার্যপত্রের বাস্তবায়ন অগ্রগতিতে বলা হয়েছে, বিএসএমএমইউতে বেসরকারি প্রশিক্ষণার্থীরা রেসিডেনসিয়াল ভাতা হিসাবে ২০,০০০ টাকা প্রাপ্ত হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিসিপিএস দাবি উত্থাপন করে, বিএসএমএমইউর ন্যায় তাদের চিকিৎসক প্রশিক্ষণার্থীরাও যেন একইরূপ ভাতা পান।
এ দাবি নিয়ে তৎকালীন বিসিপিএসের প্রেসিডেন্ট (বর্তমান বিএসএমএমইউর উপাচার্য) অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের প্রাক্তন সচিব জি. এম সালেহ উদ্দিনের সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিসিপিএসের বেসরকারি প্রশিক্ষণার্থীদের বিএসএমএমইউর বেসরকারি প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের ন্যায় ভাতা প্রদানের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এক কোটি টাকা ছাড় করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, প্রাক্তন সচিব জি. এম সালেহ উদ্দিনের সঙ্গে যে বৈঠক হয়েছিল, সেখানে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
কবে থেকে এ ভাতা প্রদান করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিসিপিএসকে অর্থায়ন করা হয়েছে। তারা সিদ্ধান্ত নেবে কিভাবে এবং কখন থেকে প্রদান করবে। এ নিয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তারা একটি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে।’
যুগান্তকারী এ সিদ্ধান্তের ফলে চিকিৎসকরা উচ্চশিক্ষায় আরও উৎসাহিত হবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কোনো দেশে অনারারি সার্ভিস বলে কোনো সার্ভিস নাই। এ সিদ্ধান্তের ফলে চিকিৎসকরা সার্ভিসের ক্ষেত্রে আরও মনোযোগী হবেন। রোগীরা সেবা পাবেন। তাদের প্রশিক্ষণও আরও কার্যকর হবে। উচ্চশিক্ষার দ্বার আরও উন্মোচন হবে। সব দিক থেকেই ইতিবাচক।’
এরকম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে আপনি অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন—এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কী? ‘শিক্ষার উন্নতি হলে আমি আনন্দিত এবং খুশি। চিকিৎসকরা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে ট্রেনিং নেবেন এবং এতে আমাদের রোগীরাই উপযুক্ত সেবা পাবেন। এ রকম কাজে অবদান রাখতে পেরে আমি অবশ্যই খুশি’, যোগ করেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য।
তবে কবে নাগাদ প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা এ ভাতা পাবেন তা জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও বিসিপিএসের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদকে ফোনে পাওয়া যায়নি।