০০ প্রতিবেলা খাবার আগে অবশ্যই এক গস্নাস পানি পান করুন।
০০ খাবার সময় মজার বা প্রিয় খাবার দেখে ওদরপূর্তি করে না খেয়ে আধপেট খান/পেট খালি রেখে খান।
০০ খাবারের সময় অবশ্যই চর্বিজাতীয় খাবার বাদ দিয়ে খান। বিশেষ করে মাছ ও মাংসের চর্বি, ঘি, মাখন, পনির ইত্যাদি।
০০ ক্ষুধা না পেলে কখনই খাবনে না।
০০ বাজি ধরে বা বন্ধুদের সাথে সেলিব্রেট করার সময় খাবার না খেয়ে বরং কোথাও ঘুরে আসুন।
০০ ফাস্টফুড জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ এগুলো উচ্চক্যালরী ও উচ্চ ফ্যাটবহুল খাবার। এসব খাবারের সাথে আপনি নিজের অজান্তেই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক্যালরী গ্রহণ করে ফেলেছেন।
০০ যতটা সম্ভব হাঁটাহাঁটি করুন। যেমন, কাছাকাছি দূরত্বে কোথাও হেঁটে যান, উপরে উঠতে লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়িতে চলুন।
০০ স্ন্যাকস হিসেবে ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
০০ কারো আশায় না থেকে নিজের ছোট ছোট কাজগুলো নিজেই করুন। যেমন-এক গস্নাস পানির জন্য কাউকে না বলে নিজেই উঠে গিয়ে নিয়ে নিন।
০০ অনেকেই বলেন, সময়ের অভাবে এক্সারসাইজ করতে পারেন না, তাই যখনই সময় পান ফ্রিহ্যান্ড কিছু এক্সারসাইজ করুন। যেমন-সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানাতে বসেই কিছু ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন।
০০ সপ্তাহে অন্তত একদিন নিজের ওজন মাপুন। কারণ, ওজন যদি স্বাভাবিক থাকে সেটা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
আসুন আমরা স্থূলতাকে ভয় না পেয়ে সহজ ভাবে একে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। কারণ, স্থূলতা বা ওজনাধিক্য থেকে পরবর্তীতে বিভিন্ন বিশেষ করে ডায়াবেটিস, হূদরোগ, হাইপার-টেনশন ইত্যাদি রোগ দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তির ইচ্ছার সাথে সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশও একান্ত কাম্য।
তায়েবা সুলতানা
নিউট্রিশনিস্ট এন্ড ওয়েট ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্ট
ডার্মালেজার সেন্টার, ৫৭/ই, পান্থপথ, ঢাকা-১২০৫।