দই একই সঙ্গে সাশ্রয়ী এবং পুষ্টিকর খাবার। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। দুগ্ধজাত খাবার হিসেবে এতে রয়েছে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি-২, বি ১২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম। দই স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি ত্বক ভালো রাখতেও সাহায্য করে।
প্রতিদিন অন্তত এক কাপ করে টক দই রাখুন দৈনিক খাদ্য তালিকায় প্রোবায়োটিক খাদ্য হিসেবে।
প্রোবায়োটিক খাবারের মধ্যে টক দই অন্যতম। প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার বন্ধু ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির মাধ্যমে হজম শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই এই করোনাকালীন সময়ে সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকার জন্য প্রতিদিন অন্তত এক কাপ করে প্রোবায়োটিক সম্মৃদ্ধ টক দই খাওয়ার অভ্যাস করি-
*টক দই ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর ভাল উৎস। এই ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধির পাশাপাশি হাড়কে মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
*টক দই খেতে গিয়ে ভিটামিন বি তৈরি করে প্রদাহজনিত রোগ কে প্রতিহত করতে সাহায্য করে।
*টক দই পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কারণ পাকস্থলীতে খাবারের পচন প্রতিরোধে সাহায্য করে।
*টক দই পেটে ঘা সারাতে সাহায্য করে।
*টকদই হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
*আইবিএসে পেশেন্টরা অনেক সময় দুধ খেতে পারেন না তারা অনায়াসে এককাপ টকদই খেতে পারেন, এতে করে তাদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে খুব সহজে।
*টক দই ওজন কমাতেও অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। তাই যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাচ্ছেন তাদের জন্য টক দই এর শরবত বা টক দই দিয়ে শসা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সালাদের কোন রেসিপি করে খেতে পারেন।
*টক দই অকাল বার্ধক্য ও অকালে চুল পাকা বন্ধ করতে পারে।
*ত্বক ও চুলের যত্নে টক দই এর জুড়ি মেলা ভার।
*টক দই ব্লাড সুগার এবং খারাপ কোলেষ্টলের মাত্রা কমাতে সাথায্য করে। তাই অনিন্ত্রিত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এক কাপ টক দই রাখা উচিৎ।
এতসব গুণাবলীর জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এককাপ টকদই রাখা যায় খুব সহজেই।
সামসুন নাহার স্মৃতি
ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিষ্ট এন্ড ডায়েটিশিয়ান
উত্তরা ক্রিসেন্ট হসপিটাল, উত্তরা, ঢাকা